—প্রতীকী ছবি
বছর তিনেক আগে তৃণমূলে চলে যাওয়া সিপিএমের বেশ কিছু নেতাকর্মী আবার দলে ফিরেছেন। গত সোমবার মুরুটিয়ার কেচুয়াডাঙা পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে সিপিএমের কর্মী সম্মেলনে জেলা সম্পাদকের উপস্থিতিতে দলে ফেরার কথা ঘোষণা করেন তাঁরা।
২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও তেহট্ট মহকুমার তিনটি আসনে সিপিএম তাদের আসন ধরে রেখেছিল। সে দিনও করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী জয়ী হন। ২০১৬ সালে সিপিএমকে হারিয়ে করিমপুরে তৃণমূল জেতে এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করে সিপিএমে। ২০১৯ সালের জুনে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে পরাজয়ের পরে বহু নেতাকর্মী সিপিএম ছেড়ে অন্য দলে চলে যান। সিপিএমের তৎকালীন জোনাল সদস্য মানিক বিশ্বাস সোমবার পুরনো দলে ফিরে অভিযোগ করেন, ২০১১ সালে সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ বিধায়ক হওয়ার পরে দলের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যকলাপ শুরু করেছিলেন। প্রথমে স্কুলে এবং পরে দলের ভিতরে তাঁকে ও তাঁর সহকর্মীদের একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। সিপিএম সেই সময়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তাই সে দিন তিনি দলত্যাগ করেছিলেন।
মানিক আরও জানান, সে দিন শিকারপুর লোকাল কমিটির ১৩ জন সদস্যের ন’জন, তিন শাখা সম্পাদক ও দলের সদস্য মিলিয়ে মোট ২৪ জন নেতা কর্মী তৃণমূলে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের কোনও পদে বসেননি বা সক্রিয় রাজনীতিতেও ছিলেন না। মানিক বলেন, “ছোট থেকে আমরা বামপন্থী রাজনীতি করেছি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করার লক্ষ্যে রাজনীতি করি, ক্ষমতা দখলের জন্য নয়। পুরনো দলকে চাঙ্গা করতেই ফিরে এলাম।”
করিমপুর এরিয়া সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক ও নদিয়া জেলা কমিটির সদস্য সন্দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নীতিহীন প্রশাসনের প্রতিবাদে বহু মানুষ আবার তাঁদের সমর্থন করছেন। দল ছেড়ে যাওয়া নেতাকর্মীরা ফিরে আসছেন। তৃণমূলের করিমপুর ১ ব্লক সভাপতি তরুণ সাহা বলেন, “সিপিএম থেকে আমাদের দলে এসে ওঁরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দলের কোনও পদে বা কাজে যুক্ত থাকতেন না। ওঁদের দলবদলে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না।”