River Erosion

ভাঙন-দুর্গতদের ত্রিপলেই কাটছে শীতের রাত

উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৪ ই আগস্ট থেকে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়েছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের ধানঘরা, হিরানন্দপুর, ধুসরীপাড়া ও শিবপুর এলাকা।

Advertisement

জীবন সরকার

শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৪
Share:

কনকনে ঠান্ডায় এ ভাবেই কাটছে রাত। নিজস্ব চিত্র

টানা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ভয়াবহ ভাঙনে তলিয়ে গেছে শত শত ঘর। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দিন যাপন করছেন কয়েক হাজার পরিবার। কনকনে ঠান্ডায় গঙ্গার ধারে ত্রিপল খাটিয়ে কোনরকমে বসবাস করলেও নেই প্রশাসনিক পদক্ষেপ। ভাঙনের গ্রাসে নিঃস্ব হয়ে চার মাস অতিবাহিত হলেও তারা কোথায় যাবে তার সমাধান হয়নি। ফলে জায়গা না থাকায় একটি ত্রিপলের নীচে পালি করে রাত্রি যাপন করছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৪ ই আগস্ট থেকে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়েছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের ধানঘরা, হিরানন্দপুর, ধুসরীপাড়া ও শিবপুর এলাকা। গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যায় কয়েকশো পরিবার। তলিয়ে যায় কয়েকশো বিঘা কৃষি জমি, আমবাগান। তলিয়ে যায় বিএসএফ চৌকি। কয়েক দিনের তান্ডবে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র জীবন যাপন করছেন সাধারণ মানুষ। জমি দেওয়ার জন্য প্রশাসন তৎপরতা চালালেও এখনও পাননি জমি। ফলে একই ত্রিপলের নীচে বসবাস করছেন বাসিন্দারা।

শিবপুরের রিতা মণ্ডল বলেন, স্বামী অসুস্থ। বাড়িঘর ভাঙনে তলিয়ে গেছে। এখন কোথায় যাব? অন্যের জমিতে কোনরকমে ত্রিপল খাটিয়ে আশ্রয় নিলেও তিনজনের বেশি থাকা যাচ্ছে না। কনকনে ঠান্ডায় দূরের আত্মীয়ের বাড়িতে পালি করে ঘুমাতে হচ্ছে আমাদের। শুধু রিতা মণ্ডল ও এসরাজ তাদের মত অনেকে একটি মাত্র ত্রিপলের তলায় বাস করছে। এখনও সরকারের কোনোরকম সাহায্য মেলেনি।

Advertisement

একই মত অঞ্জলি মন্ডল, সনৎ মন্ডল এসরাজ সেখের। তারা আরও জানান তাদের কাজ না থাকায় দুবেলা খাবার জোটে না।

এ বিষয়ে নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েত প্ৰধান সিউটি হালদার জানান, ইতিমধ্যেই জমি চিহ্নিত করণ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এখন একটু অসুবিধা হচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement