অবরোধে আটকে ট্রেন। মঙ্গলবার জালালখালিতে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
আপ-ডাউনের সমস্ত ট্রেন জালালখালি স্টেশনে থামুক এই দাবিতে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক ওই স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই অবরোধে প্লাকার্ড হাতে যেমন পড়ুয়াদের দেখা গেল, তেমনই দেখা গেল সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে চাষিদেরও।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে অবরোধ শুরু হয়। চলে প্রায় সাড়ে ন’টা পর্যন্ত। ডাউন লালগোলা ফাস্ট প্যাসেঞ্জার অবরোধে আটকে পড়ে। কৃষ্ণনগরগামী দু’টি ডাউন লোকাল আগের স্টেশন বাদকুল্লা থেকে ফিরে যায়। দাবি না মানা হলে আগামী দিনে টানা অবরোধের হুমকি দিয়েছেন অবরোধকারীরা।
কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ শাখার অন্যতম উল্লেখযোগ্য হল্ট স্টেশন জালালখালি। রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগর যাওয়ার পথে ঠিক কৃষ্ণনগরের আগের স্টেশন এটি। নিত্যানন্দপুর, দুর্গাপুর, ঝিটকেপোতা, দোগাছি, হাটবোয়ালিয়া, জয়পুর, হেমায়েতপুর, যাত্রাপুর, নতুনগ্রাম, হরিহরনগর, ঢাকাপাড়া-সহ প্রায় ১২ থেকে ১৩টি গ্রামের ভরসা এই স্টেশন। ১৯৮১ সালে এই হল্ট স্টেশনটি তৈরি হয়। সরাদিনে আপ ও ডাউন ট্রেন মিলিয়ে ১৪-১৫টি ট্রেন এখানে থামে।
দশম শ্রেণির পড়ুয়া মনিকা মণ্ডল বলে, “আমাদের ছুটির পর একটা লালগোলা প্যাসেঞ্জার শিয়ালদহের দিকে যায়। তাতে চেপে বাড়ি ফিরতে পাঁচ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু ট্রেনটি জালালখালি স্টেশনে থামে না। ফলে আমাদের বাসে করে বাড়ি ফিরতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ রকম আরও অনেক ট্রেন দাঁড়ায় না। আমরা সব ট্রেন থামার দাবিতে অবরোধ করেছি।”
আরেক অবরোধকারী সুমন ভট্টাচার্য বলছেন, “আপ ও ডাউনে মাত্র ১৬ জোড়া ট্রেন দাঁড়ায় এই স্টেশনে। চাষিদের কলকাতায় ফসল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় আট কিলোমিটার দূরে বাদকুল্লা বা কৃষ্ণনগর স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হয়।” বেশ কিছু দিন ধরে ‘জালালখালি রেল স্টেশন প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন’ রেলের কাছে জালালখালি হল্ট স্টেশনে আপ ও ডাউনের সব লোকাল ট্রেন দাঁড়ানোর দাবি জানাতে শুরু করে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, হল্ট স্টেশনগুলিতে রেলের নির্দিষ্ট নীতি আছে। সেটা মেনেই ট্রেন দাঁড়ানো ও টিকিট বিক্রির বিষয়টি ঠিক হয়। তবে জালালখালির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।