বিভিন্ন কায়দায় চুরি বহরমপুরে। প্রতীকী চিত্র।
সাইকেল সহ ছোটখাট জিনিসপত্র চুরি তো হচ্ছেই, মাঝে মধ্যে বাড়ির দরজার তালা ভেঙে চুরি যাচ্ছে জিনিসপত্র। যার জেরে চিন্তায় বহরমপুর শহরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, মাঝে শহরে চুরি কমেছিল। কিন্তু পুজোর পর থেকে বহরমপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির তালা ভেঙে চুরি যাচ্ছে।
এতদিন ফাঁকা বাড়ির তালা ভেঙে জিনিসপত্র চুরি যাচ্ছিল, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় বাড়ির লোকজনকে অচৈতন্য করে জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শহরবাসী। তাঁরা জানাচ্ছেন, এ ভাবে কোনও কিছু ছড়িয়ে বাড়ির লোকজনকে বেহুশ করে লুঠতরাজ চালানো ভয়ঙ্কর বিষয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধুমাত্র ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় গত দেড় মাসে চারটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই পুলিশ নজরদারি বাড়িয়ে চুরি বন্ধের ব্যবস্থা করুক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘বহরমপুরে চুরির ঘটনার অভিযোগ এলে মামলা করে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। শুক্রবারের আগে যে চুরি হয়েছিল সেটির কিনারা হয়েছে। শুক্রবার যেটি হয়েছে তারও তদন্ত চলছে। এ ছাড়া শহরে পুলিশ নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে।’’
বাসিন্দারা জানান, গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বহরমপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলকুমারি মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাড়ির তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা বেশ কিছু নগদ টাকা ও গয়না চুরি করে চম্পট দেয়। এ ছাড়া গত দেড় মাসে শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকায় চারটি বাড়ির তালা ভেঙে জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে। ওই সব বাড়িতে লোকজন যখন ছিলেন না সেই সময় বাড়ির তালা ভেঙে জিনিসপত্র চুরি যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাড়ির দরজার তালা ভেঙে জিনিসপত্র চুরি যায়। বাড়ির মালিক কলকাতায় থাকলেও বাড়ির নিচে ভাড়াটিয়ারা ছিলেন। সেই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের দাবি, সম্ভবত মধ্যরাতে বাড়ির সদর দরজার তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে প্রবেশ করে। এর পরে অজ্ঞান করার জন্য তাঁদের উপরে কোনও ছড়িয়ে দিয়ে জিনিসপত্র চুরি করে। বাড়ির মালিক দেবজ্যোতি দাস শনিবার বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ি থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা ও সোনার গয়না মিলিয় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে। কোনও পরিচিত ব্যক্তি লোক কাজ। আমি বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
ইন্দ্রপ্রস্থের বাসিন্দা সুদীপ্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শহরের প্রাণকেন্দ্রে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। গত দেড় মাসে পাড়ার চারটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ নজরদারি বাড়িয়ে চুরি বন্ধের ব্যবস্থা করুক।’’ বহরমপুর নাগরিক উন্নয়ন কমিটির নেত্রী খাদিজা বানু বলছেন, ‘‘মাঝে চুরি কিছুটা বন্ধ হয়েছিল। ফের পুজোর পর থেকে শহরে চুরি হচ্ছে। গত ১৫ দিনে ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকা অন্ততপক্ষে তিনটে বাড়িতে চুরি হয়েছে। পুলিশ এই চুরি বন্ধ করতে আরও তৎপর হোক।’’