ফের পাশাপাশি রোগী আর দেহ

প্রায় ছ’ঘণ্টা পড়ে থাকার পরে তাঁর দেহ বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

Advertisement

বিদ্যুৎ মৈত্র

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫২
Share:

বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে।

রোগ সারছে না মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের! মৃত্যুর পরেও প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের ভিড়েই পড়ে থাকল দেহ। দিন কয়েক আগে এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বাস্থ্য ভবন থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কাছে। বুধবার ফের একই ঘটনার সাক্ষী থাকল ওই হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ড। সন্তোষ রবিদাস (৭৫) নামে ওই রোগীর পরিবারের অভিযোগ, প্রায় ছ’ঘণ্টা পড়ে থাকার পরে তাঁর দেহ বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

হাসপাতালের সুপার দেবদাস সাহা এ দিন দাবি করেন, ‘‘মৃত্যুর পরে দেহ চার ঘণ্টা হাসপাতালের ওয়ার্ডে রেখে দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বার অন্তত দেহটি পর্দা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল।’’ সন্তোষবাবুর আত্মীয় কিংবা ওয়ার্ডের অন্য রোগীরা অবশ্য সে কথা বলছেন না। সন্তোষবাবুর ছেলে কালু রবিদাস বলেন, ‘‘সকালে বাবার মৃত্যুর পরে দেহ ওয়ার্ডেই অন্য রোগীদের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়েছিল। বার বার বলায়, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ একটা সাদা কাপড় বেডের সামনে পর্দার মতো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘিরে দেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’ ওয়ার্ডের ৫২ নম্বর শয্যায় ছিলেন সন্তোষবাবু। ৫১ নম্বর শয্যার রোগীর এক আত্মীয়ের অভিযোগ, ‘‘এ ভাবে দেহ রেখে দিলে যে পাশের রোগীর চাপ বাড়ে সে কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভেবেও দেখে না।’’ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য, কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই অব্যবস্থা সমানে চলে আসছে। এর অবসান হওয়া দরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement