দলেরই সিংহভাগ সদস্য রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের দফরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের মঞ্জুর আলির বিরুদ্ধে ভোট দিলেন। ১৭ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে বুধবার অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি ছিল। পঞ্চায়েতের সব সদস্যই শাসকদলের। তার মধ্যে ন’জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দেন। এই ঘটনায় শাসকদলের অর্ন্তদ্বন্দ্ব বেআব্রু হয়ে পড়েছে। প্রধানের বিরুদ্ধে ভোটদানকারী সদস্যেরা মন্ত্রী জাকির হোসেনের অনুগামী বলে পরিচিত। দলেরই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব যাতে হাতাহাতির পর্যায়ে না যায় তার জন্য আগে থেকেই সতর্ক ছিল পুলিশ। পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে কংগ্রেসের প্রধান হন মঞ্জুর আলি ও উপ-প্রধান হন সিপিএমের
সফিকুল আলম।
২০১৪ সালে মান্নান হোসেনের হাত ধরে প্রধান মঞ্জুর সহ ৮ জন কংগ্রেস সদস্য ও সিপিএমের উপ-প্রধান সফিকুল আলম সহ ৫ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল। মঞ্জুর তৃণমূলের রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের সভাপতি হন। গত বছর অগষ্টে জাকির হোসেন শুভেন্দু তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে জঙ্গিপুরের প্রার্থী করা হয়। আর তা থেকেই মঞ্জুর ও জাকিরের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপরেই মঞ্জুরকে তার নিজের এলাকা সরিয়ে রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়। মঞ্জুরের দাবি ছিল, রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভা আসনে প্রার্থী হওয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকিট না পেয়ে তিনি নির্বাচনে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন বলে দলের একাংশের দাবি।
তবে এখনই প্রধান পদ যাচ্ছে না তাঁর। হাইকোর্টের নির্দেশে ১১ জুলাই পর্যন্ত অনাস্থা সভার সিদ্ধান্ত কার্যকরী করা যাবে না। এই মর্মে নির্দেশ ব্লক প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। জাকির বলেন, “মঞ্জুর জঙ্গিপুরে সিপিএমকে জেতাতে কাজ করেছেন। তাই দলের ৯ জন সদস্য অনাস্থা এনে প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।’’ মঞ্জুর বলেন, “আমি জাকিরের ষড়যন্ত্রের শিকার।’’