বাম-কংগ্রেস নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে মুর্শিদাবাদে প্রথম থেকেট জট পাকছিল। বাম নেতারা একাধিক বার হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘কংগ্রেস তাদের জেতা আসনে প্রার্থী দিলে, তারাও সব আসনে প্রার্থী দেবেন।’’ এই আবহে সপ্তাহ খানেক আগে বহরমপুরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এসে জানান, চুলেও জট ধরে। তবে চিরুণী চালালে সে জট কেটেও যাবে। তার পর রবিবার জোটের জট কাটার লক্ষণ মিলল জেলার দুই প্রান্তে— ফরাক্কা ও খড়গ্রামে। দুই জায়গাতেই এ দিন কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে পা মেলালেন বাম নেতারা। শুধু তাই নয়, দুই জায়গাতেই বাম নেতারা জোটের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। শাসক দলকে হারাতে এক সঙ্গে চলার বার্তা দেন।
ফরাক্কায় কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিদায়ী বিধায়ক মইনুল হক। এ দিন তাঁর সমর্থনে নিউ ফরাক্কা হাই স্কুল মাঠে যৌথ সভা করল কংগ্রেস ও সিপিএম। চার বারের বিধায়ক মইনুলের পাশে থাকার বার্তা দিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা সিটুর জেলা সভাপতি আবুল হাসনাত খান। উল্লেখ্যে, হাসনাতও ওই কেন্দ্রের চার বারের বিধায়ক ছিলেন। এ দিন দুই প্রাক্তন বিধায়ক পরিষ্কার বলেন, ‘‘আঠার মতো দুই দলের জোট জোড়া লেগেছে ফরাক্কায়। ঝড় ঝঞ্ঝাতেও এ জোট ভাঙার নয়।” নিউ ফরাক্কা হাই স্কুলে কর্মিসভা শেষ মিছিল দুই দলের মিছিল বার হয়। বেনিয়াগ্রাম, চৌকিগ্রাম ঘুরে মিছিল শেষ হয় এনটিপিসি মোড়ে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হয় দ্বিতীয় সভা হয়। জো়ড়া সভায় আশাতীত ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত দুই দলের নেতারাই।