সচেতন না হলে বিপদ কমবে না

জানলার বাইরের কোনও জিনিসের সঙ্গে হাত বা মাথার সামান্যতম অংশ স্পর্শ হলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যাবে। এমন ভয়াবহ ও মর্মান্তিক পরিণতির কথা আমাদের সকলেরই জানা। 

Advertisement

সুমন্তকুমার সাহা (মনোবিদ)

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪২
Share:

ছোটদের অনেকেই বাসে উঠে জানলার বাইরে হাত বের করে। জানলার বাইরে মুখ বের করে বাইরে দৃশ্য দেখে। মুখের উপরে আছড়ে পড়া বাতাস তার ভাল লাগে। কিন্তু সে যখন বড় হয়, তখন বুঝতে পারে, এই তাৎক্ষণিক আনন্দের কী ভয়ানক পরিণতি হতে পারে। জানলার বাইরের কোনও জিনিসের সঙ্গে হাত বা মাথার সামান্যতম অংশ স্পর্শ হলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যাবে। এমন ভয়াবহ ও মর্মান্তিক পরিণতির কথা আমাদের সকলেরই জানা।

Advertisement

তবুও জ্ঞানপাপীর মতো মানুষ চলন্ত বাসের জানলার বাইরে হাত বা মাথা বের করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। এর প্রধান কারণ হল মানুষের মধ্যে এক অদ্ভুত রকমের বেপরোয়া মনোভাব। ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম পরিণতি, এমনকি মৃত্যুভয়ও এই বেপরোয়া মনোভাবকে কাবু করতে পারছে না। শুধু এই ক্ষেত্রেই নয়, সর্বক্ষেত্রে এই বেপরোয়া মনোভাবের বলি হচ্ছে মানুষ নিজেই।

হেলমেট না পরা চলন্ত ট্রেনে ওঠা নামা করা, ফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হওয়া— তালিকা বেশ দীর্ঘ। মানুষকে বুঝতে হবে শুধু আইন করে, শাস্তি বিধানের মাধ্যমে সবকিছু সম্ভব নয়। মানুষ নিজে সচেতন না হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই নেই ।

Advertisement

অনেকের বাসে উঠলে বমি পায়। একে ‘মোশন সিকনেস’ বলা হয়। তিনিও জানলার বাইরে মুখ বের করে বমি করেন। এ ক্ষেত্রেও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। কারও আবার বাসে উঠলে ভীষণ ঘুম পায়। সেই অবস্থায় শরীরের যে কোনও অংশ জানলার বাইরে বেরিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে যাত্রীর আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন এবং পাশে বসে থাকা সহযাত্রীর কর্তব্য তাঁকে সচেতন করা।

এগোরেফোবিয়া নামে একটি অসুখ রয়েছে। রোগীর বদ্ধ জায়গায় ভীষণ কষ্ট হয়। তখন তিনিও কষ্ট নিরাময়ের জন্য জানলার বাইরে মুখ বের করেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেপরোয়া মনোভাব ও তাৎক্ষণিক আনন্দ লাভই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। শুভ হোক বাসযাত্রা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement