এই বাসেই ফিরছিলেন তীর্থযাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদ থেকে জম্মু-কাশ্মীরে তীর্থ করতে গিয়েছিলেন ওঁরা। সাত দিনের রাস্তা পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে জানা গেল, আর এগনো যাবে না। কারণ বাসযাত্রীদের দু’জন করোনা আক্রান্ত। ফলে তীর্থযাত্রা অসমাপ্ত রেখেই ফেরত আসা। রাজ্যে ফিরে ফের করোনা পরীক্ষা করে জানা গেল, তীর্থযাত্রীদের বেশির ভাগই করোনা-আক্রান্ত।
গত ২২ মার্চ মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে একটি বাসে চালক ও খালাসি-সহ ৬৫ জন রওনা হয়েছিলেন তীর্থভ্রমণে। তবে জম্মু-কাশ্মীরে ঢোকার মুখেই তাঁদের আটকানো হয়। কর্মরত পুলিশ ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানান, নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে। সেই মতো পরীক্ষা করে জানা যায়, ওই দলে ২ জন করোনায় সংক্রমিত।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই পরিস্থিতিতে বাকিদের তীর্থযাত্রায় অনুমতি দেওয়া হবে না। এর পর বাধ্য হয়েই বাড়ির পথ ধরেন বাসযাত্রীরা। ফের ৭ দিনের রাস্তা একসঙ্গে দুই করোনা আক্রান্তকে নিয়েই রঘুনাথগঞ্জ ফিরে আসে বাস। সেখানে কিসান মান্ডিতে ফের করোনা পরীক্ষা করা হয় বাসযাত্রীদের। দেখা যায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৯। প্রশাসনের তৎপরতায় আপাতত প্রত্যেককেই নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে।