বাস দুর্ঘটনায় জখম এক প্রৌঢ়া। শনিবার চাপড়ায়। নিজস্ব চিত্র
পুরসভা উদ্যোগী হয়ে তৈরি করেছিল তিনটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বর্তমানে তিনটির কোনওটিতেই চিকিৎসক নেই। সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়েরা। তাহেরপুর পুর কর্তৃপক্ষ জানান, নতুন চিকিৎসকের খোঁজ চলছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার নতুন পুরসভাগুলির একটি তাহেরপুর। ১৩টি ওয়ার্ডে প্রায় ২১ হাজার মানুষের বাস। শহরে স্বাস্থ্য দফতরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। কিন্তু সেটি যথেষ্ঠ নয় বিবেচনা করে এ ব্লক, বি ব্লক এবং জে ব্লকে পুরসভা উদ্যোগী হয়ে তিনটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করে। তিনটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই বহির্বিভাগের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে চিকিৎসককে দেখিয়ে সাধারণ চিকিৎসা এবং ওষুধ পাওয়ার সুযোগ যাতে পুর-নাগরিকেরা পান সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তা প্রায় বন্ধ। এক জন চিকিৎসকই তিনটে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসতেন। শহরের তিন প্রান্তে অবস্থিত তিনটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগে রোগী দেখতেন তিনি। তাহেরপুর পুর এলাকা ছাড়াও রানাঘাট ১ ব্লকের বারাসত পঞ্চায়েত এবং শান্তিপুর ব্লকের চন্দ্রপুরের মতো গ্রামের মানুষও এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির ওপরে নির্ভর করতেন। বছর খানেক আগে ওই চিকিৎসক চাকরি ছেড়ে দেন। তার পর আর নতুন চিকিৎসক আসেননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, জ্বর বা সাধারণ চিকিৎসার জন্য ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপরে ভরসা করতেন। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় সে সব কার্যত বন্ধ। চিকিৎসক না থাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বসেন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। সেখান থেকে ওষুধ পাওয়া গেলেও চিকিৎসক না থাকায় রোগ নির্ণয়ের কাজ হয় না। প্রসূতিদের ওজন এবং রক্তচাপ মাপার মতো কাজগুলি হয়। চিকিৎসক থাকলে রোগ নির্ণয়ের কাজ সহজে করা যেত বলে মানছেন সকলে। তাহেরপুরের বাসিন্দা গৌতম আচার্য বলেন, “চিকিৎসক নেই অনেক দিনই। চিকিৎসক থাকলে অন্তত তাঁকে দেখিয়ে রোগ নির্ণয়ের মতো কাজ তো হয়। পুরসভা এটা নিয়ে দ্রুত
উদ্যোগ নিক।”
তাহেরপুরের পুরপ্রধান রতনরঞ্জন রায় বলেন, “আগের চিকিৎসক অন্যত্র চাকরি পেয়ে যাওয়ায় চলে গিয়েছেন। পুরসভার তরফে অন্য চিকিৎসক এনে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।”