প্রতীকী ছবি।
মাঝেমধ্যেই তিনি লটারির টিকিট কাটেন। ভাগ্যও কখনও কখনও সঙ্গ দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার যা হল তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি রেজিনগরের মরাদিঘির বাসিন্দা নূর হোসেন।
সে দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চা-মুড়ি খেয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি নূর। দাদপুরে এক লটারি বিক্রেতার কাছে তিনি তিনটে টিকিট কাটেন। সন্ধ্যায় লটারির ফল বেরোলে দেখা যায়, নূর তিনটি টিকিটেই বাজিমাত করেছেন। তাঁর পুরস্কারের অঙ্ক যথাক্রমে— দশ হাজার, ছ’হাজার দু’শো ও ২৬ লক্ষ টাকা!
এমন প্রাপ্তিযোগের পরে ঘোর কাটছে না নূরের। তিনি বলছেন, ‘‘মাঝেমধ্যে স্বপ্নে দেখতাম, লটারিতে অনেক টাকা পেয়েছি। কিন্তু সত্যি সত্যিই যে সেটা কোনওদিন সত্যি হয়ে যাবে তা ভাবিনি। এখন যা অবস্থা, এত টাকা নিয়ে কী করব তা ভাবতে গিয়েই রাতের ঘুম ছুটেছে।’’
পেশায় রাজমিস্ত্রি নূর বেঙ্গালুরুতে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। সেই আয়েই মা, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কোনও মতে চলে সংসার। তবে লাখপতি হওয়ার পরে তিনি ফের বেঙ্গালুরু যাবেন কি না তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি তিনি। তাঁর স্ত্রী মার্জিয়া বিবি বলছেন, ‘‘অভাবের সংসার। তবে উপরওয়ালা এখন মুখ তুলে চেয়েছেন। ওকে বলেছি, টাকা যেন নষ্ট না করে ফেলে। আমাদের বরাবর স্বপ্ন, মেয়েটাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার। সেই স্বপ্নপূরণে আর্থিক বাধা রইল না।’’
নূর বলছেন, ‘‘এক লাখ টাকাই কোনও দিন চোখে দেখিনি। এতগুলো টাকা পেয়ে একটু ঘাবড়ে গিয়েছি। তবে যা করব তা পরিকল্পনা করেই।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।