বিজ্ঞাপন আছে, তবে নেই কোনও আসনের হিসেব

মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের অধীন বিভাগগুলিতে পিএইচডি ও এমফিলের ফর্ম পূরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু খালি আসনের হিসাব না পেয়ে দ্বিধায় রয়েছেন আবেদনকারীরা।

Advertisement

মনিরুল শেখ 

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:০০
Share:

—ফাইল চিত্র।

এমফিল এবং পিএইচডির জন্য ফর্ম ফিলাপের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে কতগুলি আসন খালি রয়েছে তার উল্লেখ করা হয়নি। কতগুলি আসন কাদের জন্য সংরক্ষিত তা-ও বলা হয়নি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের অধীন বিভাগগুলিতে পিএইচডি ও এমফিলের ফর্ম পূরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু খালি আসনের হিসাব না পেয়ে দ্বিধায় রয়েছেন আবেদনকারীরা।

Advertisement

ছাত্রছাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন, যদি কোনও বিভাগে একটিই আসন ফাঁকা থাকে, তা হলে সেই বিভাগে আবেদনকারীর সংখ্যা এমনিতেই কমে যাবে। আবার যদি আসন সংরক্ষিত হয় তা হলে ওই আসনের জন্য সাধারণ শ্রেণিভুক্ত পড়ুয়ারা আবেদন করবেন না। শূন্য আসনের সংখ্যার উল্লেখ না-থাকায় পড়ুয়ারা আবেদন করবেন কিনা বুঝে উঠতে পারছেন না।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্কের পড়ুয়া রাকিবুল শেখ যেমন বলছেন, ‘‘আমার এক বন্ধু এমফিলে ভর্তি হতে চাইছে। কল্যাণীতে বিজ্ঞাপন বের হয়েছে। কিন্তু কতগুলি আসন রয়েছে, তাই বোঝা যাচ্ছে না। যদি একটি আসন ফাঁকা হয় তা হলে আবেদন করে লাভ নেই। কারণ, সাধারণত এ রকম ক্ষেত্রে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই সুযোগ পান।

Advertisement

তা ছাড়া, শুধু ফর্ম পূরণ করলেই তো হবে না। এর জন্য পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিতে যেতে হবে। বহু দূর থেকে উজিয়ে কেউ পরীক্ষা দিতে গিয়ে শেষে দেখলেন অতি অল্প আসন ফাঁকা রয়েছে। সেখানে তাঁর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ফলে শূন্য আসনের সংখ্যা এবং তা সংরক্ষিত কিনা উল্লেখ করা খুবই দরকার।

দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নাদিম আহমেদের মতে, ‘‘আসনের সংখ্যা উল্লেখ না থাকার অর্থ বিষয়টির মধ্যে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।’’

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক অধ্যাপক বলছেন, ‘‘বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন বের হয়েছে। কিছু দিন আগে লোক সংস্কৃতি বিভাগে গবেষণার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত বছর ওই বিভাগে গবেষণার জন্য মেধাতালিকা তৈরি হয়েছে। নানা কারণে তাঁদের ভর্তি নেওয়া হয়নি। এ বছর আবার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তা হলে গত বছরের পড়ুয়াদের কী হবে কেউ

জানে না।’’

এ ব্যাপারে কলা ও বাণিজ্য অনুষদের ডিন তথা ওই বিভাগের অধ্যাপক তপনকুমার বিশ্বাস বলছেন, ‘‘আমি কিছু বললেই বিতর্ক তৈরি হয়। ফলে আমি কোনও কথা বলার জায়গাতেই নেই।’’ উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষকে ফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি। ফলে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement