NIA

সীমান্তের গ্রামে ফের এনআইএ

এখন আর রাতারাতি গাড়ি হাঁকিয়ে এসে নির্দিষ্ট ঠিকানা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া নয়, সীমান্তের বিভিন্ন বিএসএফ ক্যাম্পে ঘাঁটি গেড়ে আশপাশের এলাকায় নিঃশব্দে খোঁজখবর করে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা, এমনটাই জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ০৭:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

আল-কায়দা যোগ সন্দেহে ডোমকল-রানিনগর এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই জেলার ৯ যুবককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। তবে, সেখানেই যে দাঁড়ি পড়েনি, জেলায় এনআইএ-র ক্রমান্বয়ে আনাগোনা বাড়ানো তারই প্রমাণ। এখন আর রাতারাতি গাড়ি হাঁকিয়ে এসে নির্দিষ্ট ঠিকানা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া নয়, সীমান্তের বিভিন্ন বিএসএফ ক্যাম্পে ঘাঁটি গেড়ে আশপাশের এলাকায় নিঃশব্দে খোঁজখবর করে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা, এমনটাই জানা গিয়েছে।

Advertisement

জলঙ্গির চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রেই জানা গিয়েছে। সেখানে থেকেই ডোমকলের বিভিন্ন এলাকায় লোক মারফত কিংবা নোটিস পাঠিয়ে তলব করা হচ্ছে সন্দেহভাজনদের। জেরার পরে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাদের অনেকের ওপরেই যে আড়াল থেকে নজরদারি চলছে, তা কবুল করেছেন গোয়েন্দারা।

এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেও জলঙ্গির ওই বিএসএফ ক্যাম্পে জনা কয়েক যুবককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে যে নির্দিষ্ট কিছু সূত্র মিলেছে, তা-ও জানিয়েছেন তাঁরা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সকলকে যে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখছেন তাঁরা, তা নয়। তবে কোনও সন্দেহভাজনের গতিবিধি জানতেই তাদের সুহৃদ বা ঘনিষ্ঠদের জেরা করা হচ্ছে। আর এর ফলেই আতঙ্ক বাড়ছে ডোমকলের সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই দাবি, পরিবার থেকে আত্মীয়-স্বজনদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখেই এনআইএ তুলে নিয়ে যাচ্ছে যুবকদের। তার পর নাগাড়ে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ।

Advertisement

মাস দুয়েক আগে গভীর রাতে এনআইএর দল হানা দিয়েছিল ডোমকলে। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ডোমকল, রানিনগর এবং জলঙ্গিতে হানা দিয়ে ছ’জনকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তারা। আর সেই সঙ্গে এলাকার আরও তিন যুবককে গ্রেফতার করেছিল কেরল থেকে। তার দিন কয়েক পরে জলঙ্গির নওদাপাড়া গ্রামে হানা দিয়ে শামিম আনসারি নামের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল এনআইএ। ধৃতদের দফায় দফায় গ্রামে নিয়ে এসেও তদন্ত চালাচ্ছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা।

গ্রামের অনেকেই তাই আতঙ্কিত। কারও দাবি, ‘‘ওদের অনেককেই তো চিনতাম। তা বলে আমরাও সন্দেহের তালিকায়!’’ এক যুবকের কথায়, ‘‘আমি তো আড্ডাও মেরেছি ধৃত যুবকদের এক জনের সঙ্গে। কিন্তু কোনওদিন জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে তো কথা হয়নি। এখন আমায় তুলে নিয়ে গিয়ে জেরা করলে, কী বলব বলুন তো!’’ নভেম্বর মাসের শুরুতেই রানিনগরের নজরানা গ্রাম থেকে আব্দুল মোমিন নামের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার এক পরিচিতের কথায়, ‘‘মোমিনকে চিনতাম, এখন তা-ও যদি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় তা হলে তো ভারী মুশকিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement