—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে এ বার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় এনআইএ। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেলডাঙার রামেশ্বরপুর গ্রামের তিন জনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাড়ির সদস্যদের। তার পর সেখান থেকে এনআইএয়ের প্রতিনিধিরা ফিরে যান বেলডাঙা থানায়।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। রামেশ্বরপুরের মনসুর শেখ, তাহাবুল শেখ এবং তাহাবুল শেখের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানো হয়। যদিও ওই তিন বাড়ির সদস্যরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি বেলডাঙ্গার রামেশ্বরপুরের বাগানের একটি ঘরে বোমা বানানো হচ্ছিল। সেদিন রাত ৯টা নাগাদ ওই ঘরে বিকট বিস্ফোরণ হয়। তাতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ৭৪ টি সকেট বোমা এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় প্রথমে জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তিন মাসের মধ্যে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার পর তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রায় আট মাস পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তভার নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত বছরের ১০ অক্টোবর বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি বিস্ফোরণে যিনি মারা যান, সেই ছাদি শেখের বাড়িতে যান এনআইএয়ের দুই তদন্তকারী। তার পর চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বেলডাঙা বিস্ফোরণ মামলায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায়, পাইপ বোমা জাতীয় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল সেদিন। বোমায় যে ধরনের সরঞ্জাম ও লোহার টুকরো যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা সেনার ব্যবহৃত গ্রেনেডের সমতুল্য বলে অভিযোগ করা হয়। ওই ঘটনায় মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে ধৃতেরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। বিশেষ আদালতে তাঁদের জামিন খারিজের আবেদন জানিয়েছে এনআইএ।