সদ্য সমাপ্ত কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে ভরডুবি হয়েছে বামেদের। সেই রক্তক্ষরণ কাটতে না কাটতে শিয়রে জেলার আটটি পুরসভার ভোট। পুরভোটে জমি ফিরে পেতে বামেদের ভরসা এক ঝাঁক নতুন মুখ।
জেলার আটটি পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ১৫১টি। বাম ফ্রন্টের তরফে সিপিএম সিংহভাগ আসনে লড়ছে। কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে শরিক দল আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লক। নবদ্বীপ পুরসভার একটি আসনে অবশ্য সিপিএম সরাসরি লড়াই করছে না। সেখানে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে সিপিএম। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরভোটে প্রায় ৭০ শতাংশ নতুন মুখ আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আবার বেশিরভাগই এ প্রজন্মের। যাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। সিপিএম এর জেলা কমিটির সম্পাদক সুমিত দে নতুন প্রজন্মের ভোটে লড়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পুরসভা নির্বাচনে আমরা যেভাবে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছি তা অভূতপূর্ব। তৃণমূলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে তাঁদের ভোট লড়া এ বারের পুরভোটকে অন্য মাত্রা দেবে।”
কিন্তু বামেদের প্রার্থী তালিকায় তরুণদের এত রমরমা কেন? জেলার বাম নেতাদের দাবি, লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলের অন্দরে লড়াকু যুবকের বিভিন্ন স্তরের ভোটে প্রার্থী করার দাবি উঠে আসছিল। সেই মত প্রায় সর্বত্রই নতুন মুখের নেতৃত্বকে তুলে আনা শুরু হয়। এবার পুরনির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেই নীতি কার্যকর করা হয়েছে। সিপিএম-এর এক জেলা নেতার দাবি, ‘‘এ বারের নির্বাচনে কঠিন লড়াই। কারণ, এখন থেকেই তৃণমূল যেভাবে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের কর্মী ও প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া শুরু করেছে তাতে নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে লড়াইটা কঠিনতর হবে। সন্ত্রাসের মোকাবিলা করতে পারবে তরুণরাই।”
নবদ্বীপ পুরসভার আসন সংখ্যা ২৪। তার মধ্যে ষোলোটিতে বামেরা নতুন মুখ দাঁড় করিয়েছে। আবার প্রার্থীদের মধ্যে এগারো জন রয়েছেন, যাঁদের নাম দলের যুব সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যেমন পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রসেনজিত্ সর্দার ডিওয়াইএফআই এর নবদ্বীপ লোকাল কমিটির সভাপতি।