প্রতীকী ছবি।
বদলির নির্দেশ পেয়ে সটান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-কে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে!
এই ঘটনায় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়ে নাকাশিপাড়া থানায় ওই ডাক্তারের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, চলতি মাসেই বেথুয়াডরি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছেন খাইরুল আলম মল্লিক। তাঁর বাড়িও নাকাশিপাড়া থানার বিরপুর এলাকায়। সপ্তাহখানেক কাজ করার পর তাঁকে কালীগঞ্জ ব্লকে মীরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বদলি করার নির্দেশ আসে বেথুয়াডহরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিকের কাছে। সেই মতো তিনি একটি নির্দেশিকা জারি করেন। অভিযোগ, সেই নির্দেশিকা হাতে পেয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন খাইরুল আলম মল্লিক। সোজা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে এসে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বসেন। অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেন বলেও অভিযোগ।
এই বিষয়ে নাকাশিপাড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সমীর আচার্য বলেন, ‘‘উর্ধ্বতন কর্তাদের জানিয়েছি বিষয়টি। ওঁরা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।’’ খাইরুল আলম মল্লিককে ফোন করলে তাঁর উত্তর, ‘‘যা বলার জেলা কর্তাদের বলেছি।’’
তবে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এক মাসের মধ্যে খাইরুল আলম মল্লিকে বদলি করা হলো। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মীরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিছুদিন ধরেই একজন মাত্র ডাক্তার রয়েছে। সেখানে বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ চালু আছে। এক জন ডাক্তার কাজ সামলাতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে জরুরি ভিত্তিতে খাইরুলকে মীরায় বদলি করা হয়। তা ছাড়া, নাকাশিপাড়া থেকে কালীগঞ্জ ব্লকের দূরত্ব খুব বেশি নয়। যাতায়াতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাই খাইরুল কেন রেগে সোজা স্বাস্থ্যকর্তাকে খুনের হুমকি দিলেন তা অনেকেরই বোধগম্য হচ্ছে না।