মুখ্যমন্ত্রী মমতার দ্বারস্থ হতে চান নিহত তৃণমূল নেতা স্ত্রী তথা নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিনা বিশ্বাস। নিজস্ব ছবি।
নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠল। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এখনও কোনও মামলাই রুজু করেনি, এমন দাবি করে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে চান নিহত তৃণমূল নেতা মতিরুল বিশ্বাসের (৪৫) স্ত্রী তথা নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিনা বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার পর তিন দিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও মামলা রুজু করেনি।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ অবশ্য জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’
সোমবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা রিনার। তার আগে নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ, পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও এফআইআর-এর প্রতিলিপি মেলেনি। এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বয়ানের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ। রিনার কথায়, ‘‘তিন দিন হয়ে গেল এফআইআর করেছি। এখনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। উল্টে খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে!’’ প্রাণের ভয় পাচ্ছেন জানিয়ে রিনা জানান, মঙ্গলবার তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় যাবেন।
ঘটনাচক্রে, মতিরুল খুনের পর রিনা দাবি করেছিলেন, মুর্শিদাবাদের পুলিশের উপর আস্থা রাখলে স্বামীর ‘খুনি’রা কোনও দিনই সাজা পাবেন না। পুলিশের উপর ‘খুনি’দের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন রিনা। বলেছিলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের উপর হাবিবের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সেই জন্যই আমরা সিআইডি তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’’ মতিরুলের মাসির ছেলে তথা তৃণমূল নেতা মিঠু শাহও বলেন, ‘‘স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন রিনা। তাই সিআইডি বলতে গিয়ে ভুল করে সিবিআই বলে ফেলেছিলেন উনি। কিন্তু আমরা সিআইডি তদন্ত চাই। আমাদের বিশ্বাস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করবে।’’ এ বার সশরীরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন নিহতের স্ত্রী।