—প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার নতুন লোহরপুর গ্রাম থেকে অসমের গুয়াহাটিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ওই যুবকের। নাম সামাউল শেখ (২৫)।
মাত্র ১০ দিন আগে ওই যুবক একটি পণ্যবাহী লরির খালাসির কাজ করার জন্য গুয়াহাটিতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে সামাউলের মৃত্যু সংবাদ গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই সন্তানের বাবা সামাউল নিজের গ্রামেই শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে গ্রামে নিয়মিত কাজ না পাওয়ায় জন্য সম্প্রতি গাড়ির খালাসির কাজ করা শুরু করে সামাউল।
দিন দশেক আগে ওই যুবক বহরমপুর থেকে একটি পণ্যবাহী গাড়ির খালাসি হিসেবে গুয়াহাটিতে যান। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সামাউল অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসছিলেন। গভীর রাতে গাড়ি চালাতে চালাতে ড্রাইভারের ঘুম পাওয়ায় তিনি অসম-শিলিগুড়ি সীমান্তে লরিটিকে দাঁড় করিয়ে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান। সামাউল পিছনের চাকার হাওয়া পরীক্ষা করছিলেন। তখনই ঘটে বিপত্তি।
সূত্রের খবর, দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামাউলকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় সামাউলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন সামাউল। তাঁর মৃত্যুতে কী ভাবে সংসার চলবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যেরা। শিলিগুড়ি থেকে দেহ নিয়ে আসার মতো আর্থিক সামর্থ্যও নেই পরিবারের। পরিবারের তরফ থেকে প্রশাসনের কাছে দেহটি দ্রুত ফিরিয়ে আনার আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।