চোখের সামনে ছুটে পালাল এক যুবক

গ্রামের বাড়ি থেকে সর্ষে আনতেন, ওই সর্ষে আমি ফুলতলার কাছে একটি ঘানি থেকে ভাঙিয়ে তেল করে এনে দিতাম

Advertisement

রাজীব দাস

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৪
Share:

বাড়ি করে এখানে বসবাসের শুরুতে দাদা বন্ধুপ্রকাশ অন্য জনের কাছ থেকে দুধ কিনতেন। বছর খানেক থেকে আমি নিয়মিত বাড়িতে দুধ সরবরাহ করতাম। বাড়িতে দুধ সরবরাহ করা ছাড়াও বাড়ির টুকিটাকি কাজও করতাম।

Advertisement

দাদা কোনও দিন সর্ষের তেল কিনে খেতেন না। গ্রামের বাড়ি থেকে সর্ষে আনতেন, ওই সর্ষে আমি ফুলতলার কাছে একটি ঘানি থেকে ভাঙিয়ে তেল করে এনে দিতাম। নবমীর দিন সর্ষে দিয়ে দাদা তেল করে দেওয়ার কথা জানান। সেই মতো নবমীর দিন যখন সকালে দুধ দিতে গিয়েছিলাম, তখন সর্ষে নিয়ে গিয়ে ঘানিতে দিয়ে এসেছিলাম। ঘানি মালিক দশমীর দিন দেবেন বলে জানান। দশমীর দিন সকালে বাড়িতে দুধ দিয়ে আসার পরে ফুলতলা এসেছিলাম তেল নিয়ে যাওয়ার জন্য। তেল নিয়ে লেবুবাগানের বাড়িতে আসি তখন ১২টা বাজবে।

বাড়ির দরজার কাছে সাইকেলটা হেলান দিয়ে রেখে খোলের বস্তা আর তেলের জার নিয়ে ধাক্কা দিতেই দেখি দরজা ভেতর থেকে খোলা। এর পরে ঘরের ভেতরে ঢুকতেই দেখি দাদার গোটা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আমি তখনও বুঝতে পারিনি এত বড় কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। কী করব বুঝতে না পেরে দাদার এক বন্ধু প্রকাশ পালকে ফোন করি কিন্তু বেজে গিয়েছিল, কেউ ফোন ধরেনি। এর পরে বাড়ির বাইরে এসে চিৎকার করে লোকজনকে ডাকতে থাকি। চিৎকার শুনে পড়শি বিব্রত সরকার ছুটে আসেন। তখনই দেখি ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে এক জন যুবক দৌড়ে পালাতে। তার পিছু ধাওয়া করেন বিব্রতদা ও পঙ্কজদা। কিন্তু তাঁরা ধরতে পারেননি ওই যুবককে। পরে বিব্রতদা ও আমি ঘরের ভেতরে ঢুকে দেখি তত ক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বন্ধুপ্রকাশ পালের বাড়িতে দুধ দিতেন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement