Dengue

করোনার দোসর ডেঙ্গি, আতঙ্ক রুখতে সতর্ক প্রশাসন

পুর এলাকায় না হলেও গ্রামাঞ্চলে অবশ্য ডেঙ্গি রোধে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৫:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি

দেশ জুড়ে করোনার ছায়া ক্রমশ প্রলম্বিত হয়েছে, গ্রীষ্ম ফুরোলে চৌকাঠে অপেক্ষায় ডেঙ্গি!

Advertisement

এই অবস্থায় জেলার আনাচ কানাচে ডেঙ্গি রোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হলেও, লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষকে এখনই আতঙ্কের দুয়ারে ঠেলে দিতে চাইছে না স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনের তাই নির্দেশ— প্রতিষেধক ব্যবস্থা নিন, তবে তা যেন কোনও ভাবেই মানুষের ভয়ের কারণ হয়ে না ওঠে। মুর্শিদাবাদও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই শহরাঞ্চলে, যেখানে জনঘনত্ব বেশি, সেই সব এলাকায় ডেঙ্গি রোধে মশা-নাশক স্প্রে করা শুরু হলেও ঘরের কড়া নেড়ে মানুষকে আলাদা করে আর সতর্ক করছে না পুরসভাগুলি। এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, ‘‘তাতে মানুষ আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারে। যা এই অবস্থায় একেবারেই কাম্য নয়।’’ দিন কয়েক আগেই এ ব্যাপারে জেলায় নির্দেশিকা এসেছে বলেও জানা গিয়েছে।

পুর এলাকায় না হলেও গ্রামাঞ্চলে অবশ্য ডেঙ্গি রোধে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার জন্য ২৬৭৬টি ভেক্টর কন্ট্রোল টিম তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। অন্তত সাড়ে তিন হাজার কর্মী এই কাজে পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরছেন। এলাকায় স্প্রে ও ফগিংয়ের জন্য ৯৮০টি দল তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের কাজ দেখভালের জন্য রয়েছে ৩৬৭জন সুপার ভাইজার।

Advertisement

গ্রামীণ এলাকায় ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা শুরু করছেন। বাড়ি ভিতরে কোথাও জল জমলে তা ফেলে দেওয়ার জন্য সচেতন করা হচ্ছে, তেমনই কোথাও মশার লার্ভা থাকলে তা মশা-নিরোধক স্প্রে করে নষ্ট করা হচ্ছে। তবে শহর এলাকায় বাড়ি বাড়ি না গেলেও পাড়ায় নিকাশিনালার পাশে স্প্রে ও ফগিং শুরু হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ‘‘গত বছর ডেঙ্গিতে দু’হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, এ বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২। তবে এ কাজেও কর্মীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস, বুট দেওয়া হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement