প্রধান সড়ক থেকে সোমবারের মধ্যে জবরদখলকারীদের দোকান সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিল ধুলিয়ান পুরসভা। তা না হলে পুরসভা নিজেই সেই সব নির্মাণ সরিয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সরে যেতে বলা হয়েছে পুরসভার গড়ে দেওয়া ভাড়াঘরের দোকানদারদেরও। পুজোর আগে রাস্তা চওড়া করতে পুরসভার এই তৎপরতা।
অন্য দিকে, ব্যবসায়ীদের দাবি, সামনে ইদ ও পুজো। এই অবস্থায় দোকান সরিয়ে নিলে মারা পড়বেন তাঁরা। তাই পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এ নিয়ে গত সপ্তাহে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে পুরপ্রধান ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
পুরসভার দাবি, ধুলিয়ানে ঢোকার একাধিক রাস্তাই গত কয়েক দশক ধরে জবরদখল হয়ে গিয়েছে একের পর এক। ফলে যানজট ক্রমশ নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। শহরকে যানজট মুক্ত করতে তাই পুরসভার এমন কড়া পদক্ষেপ। শহর জুড়ে হোর্ডিং টাঙিয়ে পুরবাসীদের সমর্থনও চাওয়া হয়েছে।
পুরপ্রধান সুবল সাহা জানান, প্রধান রাস্তাটির অর্ধেকটাই এখন জবরদখল হয়ে গিয়েছে। ফলে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাই দু’টি রাস্তা থেকে জবরদখল সরিয়ে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর আগেই প্রধান রাস্তাটিও বড় করতে চাইছেন তাঁরা।
কাঞ্চনতলা স্কুলের কাছে ব্যাটারির দোকান রয়েছে মহম্মদ হাতেম তাই-এর। তিনি বলছেন, “উঠে যেতে আপত্তি নেই। তবে পুনর্বাসনের পরিকল্পনাটা জানানো হোক।”
মোবাইলের ব্যবসা অজিত শেখের। তিনি বলছেন, “ দোকান উঠিয়ে নিলে খাব কী?’’
পুরপ্রধানের আশ্বাস, মার্কেট কমপ্লেক্সে দ্বিতল গড়ে এবং ম্যারেজ হলের পিছনে ঘর করে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। শুধু এখন যে মাপের দোকান রয়েছে সেই মাপের ঘর করার খরচটা দিতে হবে তাঁদের। ন্যুনতম ভাড়া নেওয়া হবে।