মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দেওয়া সম্পত্তির বিবরণে উঠে এল নানা আশ্চর্য বিষয়। কোটিপতি প্রার্থীদের সম্পত্তি নিয়ে জেলা জুড়ে আড়ালে-আবডালে নানা কথা শোনা .যাচ্ছে। শোনা যাবে নাই বা কেন! কয়েক কোটি টাকার মালিক প্রার্থী যদি সম্পত্তির বিবরণে লেখেন, ‘‘আমার কোনও গাড়ি নেই।’’ সম্পত্তির এমনই সব ‘আজব’ বিষয় উঠে এসেছে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের দেওয়া সম্পত্তির বিবরণে।
জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থী বড় বিড়ি ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের জানিয়েছে, তাঁর একটিও গাড়ি নেই। যদিও প্রায় ২৭ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক তিনি। প্রায় ১৮ কোটি টাকার মালিক মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসীমকৃষ্ণ ভট্ট। অত টাকা দেখলে হবে! তাঁর দেনার পরিমানও কিন্তু কম নয়। প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা। তবে এ ব্যাপারে ‘আশ্চর্যজনক’ তথ্য উঠে এসেছে সমশেরগঞ্জের প্রার্থী রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাসের দেওয়া সম্পত্তির হিসেবে। তিনি দেখিয়েছেন, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা। অথচ বিভিন্ন সংস্থায় তাঁর দেনা রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
চলতি বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি কোটিপতি প্রার্থী রয়েছে তৃণমূলের। তবে তাঁদের মধ্যে সম্পত্তির নিরিখে প্রথম জাকির হোসেন। বিড়ি কোম্পানির মালিক হিসেবে পরিচিত জাকির ইদানীং একাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও তৈরি করেছেন। রয়েছে নানা রকমের কারখানা। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি যে হলফনামা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছেন, তাতে উল্লেখ রয়েছে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ৪ কেজি ২০০ গ্রাম সোনার মালিক। তাঁর পরিবার প্রায় ২৭ কোটি টাকার মালিক। তবে তাঁর জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে তাঁর দেনা রয়েছে প্রায় ৯৭ লক্ষ টাকা। তবে হলফনামায় জেলার সবচেয়ে বিত্তশালী প্রার্থী জানিয়েছেন, তাঁর কোনও গাড়ি নিয়ে।
সুতির তৃণমূল প্রার্থী ইমানি বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৬.৭৬ কোটি টাকা। গাড়ি রয়েছে একটি। ইমানির দেনার পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা। তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহার পরিবারের বাৎসরিক আয় প্রায় ৩১ লক্ষ টাকা। সম্পত্তির পরিমাণও দেড় কোটি টাকার উপরে। তাঁরও ব্যাঙ্কে দেনা প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।