রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর নাম লিখছেন এক মহিলা কর্মী। কুপার্সে। নিজস্ব চিত্র
আগেই দলে মুকুটমণি অধিকারীর গুরুত্ব বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার পড়ল সিলমোহর। রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন মুকুটমণি অধিকারী। শুক্রবার সে কথা জানান তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুটমণি অধিকারী। বিধায়ক পদে ইস্তফাও দেন। ফলে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মুকুটমণি। জিততে পারেননি। ফলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তৃণমূল ফের তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। এখন দেখার মুকুটমণির মাথায় জয়ের মুকুট ওঠে কি না।
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের একাংশ মতুয়া ও উদ্বাস্তু। বিধানসভার অধীনে ১৪টি পঞ্চায়েত ও কুপার্স নোটিফায়েড পুরসভা রয়েছে। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ১৪টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আবার কুপার্স নোটিফায়েড পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে উপনির্বাচনে জয় নিশ্চিত করা মুকুটমণির কাছে কঠিন হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীন রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ব্যবধান কমে হয় সাড়ে ১৬ হাজার। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৩৭ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। যদিও প্রার্থী মুকুটমণির কথায়, ‘‘উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আমরা একশো শতাংশ নিশ্চিত।’’
তৃণমূলের জয়ের দাবিকে কটাক্ষ করে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক আশীষবরণ উকিল বলেন, ‘‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করবেন। লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থীকে এক মাসের ব্যবধানে মানুষ ভোট দিয়ে আর জেতাবেন না।’’