Murder

২ যুবকের খুনের প্রতিবাদে শান্তিপুরে বিজেপি-র ডাকা বন্‌ধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বন্‌ধে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল শান্তিপুরে। বিজেপি বন্‌ধ ডাকলেও দোকান-বাজার খোলা রয়েছে সেখানে। রাস্তাঘাটে গাড়িও চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২১ ১৩:২৫
Share:

এই কলাবাগান থেকেই উদ্ধার হয়েছিল দুই যুবকের দেহ। নিজস্ব চিত্র।

নদিয়া জেলার শান্তিপুর থানার মেথিডাঙা এলাকার একটি কলাবাগানে বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় দুই যুবকের রক্তাক্ত দেহ। নিহতরা তাঁদের কর্মী বলে দাবি করে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ডেকেছে স্থানীয় বিজেপি নেতারা। সেই বন্‌ধে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল শান্তিপুরে। বিজেপি বন্‌ধ ডাকলেও দোকান-বাজার খোলা রয়েছে সেখানে। রাস্তাঘাটে গাড়িও চলেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুই যুবকের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় মানুষজন। পরে শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। খুনের ঘটনা চাউর হতেই নিহত যুবকদের পরিবার থানায় যোগাযোগ করে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের একজনের নাম দীপঙ্কর বিশ্বাস। তাঁর বাড়ি নিশ্চিন্তপুর হাউস কলোনিতে। অন্য যুবকের নাম প্রতাপ বর্মণ। তাঁর বাড়ি নৃসিংহপুরের বর্মণ পাড়াতে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন এঁরা। তার পর থেকে ফোনে তাঁদের যোগাযোগ করা যায়নি। বাড়িতেও আসেননি। সকালবেলায় তাঁদের পরিবারের লোক শুনতে পান কলাবাগানে দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর পর থানায় যোগাযোগ করেন পরিবারের লোকজন। পাড়ার এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে নিহত দুই ব্যক্তি মিটিং-মিছিলে যেতেন বলেও জানিয়েছেন তাঁদের পরিবারের লোকেরা।

Advertisement

ঘটনার খবর পেয়েই শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার নিহতদের বাড়িতে যান। বিজেপি-র তরফ থেকে শান্তিপুর ডাকঘর মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই খুনের প্রতিবাদেই শুক্রবার বন্‌ধ চলছে শান্তিপুরে। জগন্নাথ বলেছেন, ‘‘বাংলায় প্রতিদিন বিজেপি কর্মী খুন করছে শাসক দল তৃণমূল। শাসক দলকে এই কাজে মদত দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। বিজেপি কর্মীদের পরিচয় গোপন করে দেহ শনাক্ত না করেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে ওই দেহ পরিবারের কেউ দাবি না করতে পারে। এর প্রতিবাদেই আমরা বন্‌ধ পালন করছি।’’

যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর শহরের তৃণমূল সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র। তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি-র এই বন্‌ধে কোনও প্রভাব পড়েনি। বৃহস্পতিবার দুই যুবকের খুন হওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা রাজনৈতিক খুন নয়। কারণ এরা কেউ রাজনীতি করত না। এরা খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। এখানকার বিজেপি-র প্রার্থী রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এই কাজ করেছে এবং তৃণমূলকে বদনাম করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement