প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদের কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক পেটের টানে ভিন্ দেশে, ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দেন। আর ইদের সময়ে তাঁরা দল বেঁধে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু সে সময় এত ভিড় হয় যে ট্রেনে-বাসে বসা দূরে থাক, দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও থাকে না। আর সেই যন্ত্রণার কথা মনে পড়তেই পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার ইদের কয়েক দিন আগে বিশেষ ট্রেন চালানোর দাবি তুলেছেন।
ইতিমধ্যে লোকজনের ঘরে ফেরা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেঙ্গল লেবার ইউনিয়ন নামে ভগবানগোলার একটি শ্রমিক সংগঠন রেলের শিয়ালদহের ডিআরএমকে চিঠি দিয়ে ইদ স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছে। বেঙ্গল লেবার ইউনিয়নের সম্পাদক দুলাল শেখ বলেন, ‘‘ইদের আগে অর্থাৎ ৭, ৮ ও ৯ জুলাই ট্রেনগুলি সব থেকে বেশি ভিড় হওয়ার কথা। তাই আমরা লালগোলা শিয়ালদহ শাখায় ইদ স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এমনিতেই এই শাখায় পর্যাপ্ত ট্রেন না থাকায় ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। তার উপরে ইদের মতো উৎসবের সময়ে ভিড় অনেক বেড়ে যায়। তাই স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো জরুরি।’’
বেঙ্গল রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স অ্যান্ড ভেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ইস্টার্ন জোন) এর সাধারণ সম্পাদক পুণ্ডরীকাক্ষ কীর্তনিয়া বলছেন, ‘‘ইদের দিন যত এগিয়ে আসছে, ট্রেনে তত ভিড় বাড়ছে। তাই দুর্ঘটনা ও ভিড় এড়াতে এখনই ইদ স্পেশ্যাল ট্রেন দেওয়া উচিত।’’
তবে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারির একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় ইদ স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। যদি চালানোর খবর আসে আপনাদের সময় মতো জানাব।’’
ভগবানগোলার সিদ্দিক মণ্ডল কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৭ জুলাই কলকাতায় পৌঁছব। এখন থেকে ভাবছি সেখানে লালগোলাগামী ট্রেনে উঠতে পারব কি না। কারণ প্রতি বছর ইদের সময় লালগোলাগামী ট্রেনগুলিতে ভিড় ভেঙে পড়ে। দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও পাওয়া যায় না। তাই ইদের ক’দিন বিশেষ ট্রেন চালালে যাত্রীদের উপকার হয়।’’ বহরমপুরের জুলিয়াস মণ্ডল বলেন, ‘‘৮ জুলাই আমার কলকাতায় কাজ রয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ করে সেদিন বা তার পরের দিনে ফেরার ট্রেনে আসন সংরক্ষণ করতে গিয়ে দেখেছি কোনও জায়গা নেই। ফলে ওয়েটিং টিকিট কেটে রেখেছি। কী যে হবে বুঝতে পারছি না। রেলের এই সময় স্পেশ্যাল ট্রেন দেওয়া উচিত।’’