Fake MD

অখিলের কঠিন শাস্তির দাবি

অখিলের ‘কীর্তি’ সামনে আসার পরে সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কার্যত নিন্দার ঝড় উঠেছে।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ০৯:১৫
Share:

মহম্মদ অখিলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।

ভুয়ো ‘এমডি’ ডিগ্রি দেখিয়ে রোগী দেখায় অভিযুক্ত মেডিক্যাল ছাত্র শেখ মহম্মদ অখিলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি উঠছে চিকিৎসক মহলে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ওই ছাত্রের শাস্তি না হলে তাঁদের প্রতি রোগীদের আস্থা হারিয়ে যেতে পারে।

Advertisement

কল্যাণীর কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হসপিটালের পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র অখিলের বিরুদ্ধে হুগলির চণ্ডীতলা থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মেডিক্যাল কলেজেরই এথিক্স কমিটির সদস্য, আইনজীবী অনিরুদ্ধ ঘোষ। চণ্ডীতলায় অখিলের বাড়ি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

অখিলের ‘কীর্তি’ সামনে আসার পরে সমাজমাধ্যম থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কার্যত নিন্দার ঝড় উঠেছে। যে সব চিকিৎসক ওই মেডিক্যাল কলেজ থেকে সদ্য পাশ করেছেন, তাঁদেরই একজন বলেন, “আমরা সরাসরি অখিলের নানা কীর্তির শিকার হয়েছি।’’

Advertisement

মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সত্যজিৎ রায় বলেন, “এই ধরনের ঘটনা গর্হিত অপরাধ। তদন্ত হওয়া উচিত। যদি সত্যিই এমনটা ঘটে থাকে তা হলে এই চিকিৎসক ছাত্রের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ করা উচিত।” হেলথ্‌ সার্ভিস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক সন্দীপ মিত্র বলেন, “এই ধরনের অপরাধের তীব্র নিন্দা করছি। এদের জন্য গোটা মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থাটাই ভেঙে যেতে বসেছে। আমরা ওই ছাত্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, এমবিবিএস পাশ করে কেউ রোগী দেখতেই পারেন। কিন্তু কমিউনিটি মেডিসিনের স্নাতকোত্তরের ছাত্র হিসেবে কেউ নিজেকে ‘জেনারেল মেডসিন’-এর চিকিৎসক পরিচয় দিতে পারেন না। তা ছাড়া, একজন পিজিটি-র ছাত্র হয়ে কোনও ভাবেই তিনি হাসপাতালের বাইরে রোগী দেখতে পারেন না। অখিল সেটাই করছেন বলে অভিযোগ। রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কারও রোগ হলে তাঁকে সুস্থ করার বিষয়টি পড়ে জেনারেল মেডিসিনে। আর কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে রোগ হবে না, সে সংক্রান্ত বিষয় থাকে কমিউনিটি মেডিসিনে।’’

এ নিয়ে অখিলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর রাজ্য সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের নাম করে হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে অনিরুদ্ধের। সুদীপ্ত বলেন, “আমি অখিলকে চিনি। কিন্তু কেউ যদি ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়ে চিকিৎসা করে, তা হলে তার বিরুদ্ধে তো পদক্ষেপ করতেই হবে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement