সভায় সেলিম। নিজস্ব চিত্র
ডোমকলে পা রেখেই প্রথমে চলে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সিপিএম নেতা আনিসুর রহমানের বাড়িতে। সেখান থেকে বেরিয়েই মিছিলে হাঁটলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আর মিছিল শেষে সভা করলেন ডোমকল রবীন্দ্রমোড় সংলগ্ন এলাকায়। আর এদিনের সভা থেকেও দিদি মোদী নিয়ে যেমন সরব হলেন তিনি, তেমনই ভাবে স্থানীয় সমস্যা নিয়েও সুর চড়ালেন। বিশেষ করে পুলিশের উদ্দেশে যত্রতত্র গাড়ি ধরা এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি নিয়েও সরব হলেন বারবার।
নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোট ছাড়াও তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা এবং নাকা চেকিংয়ের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি বন্ধ করা নিয়ে এদিনের বিক্ষোভ ডেপুটেশন ছিল সিপিএমের।
তা ছাড়াও দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং মাদকের মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলেছিল তাঁরা।
এ দিন সভায় বলতে উঠে মহম্মদ সেলিম পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আমরা যখন চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান তুলছি, ঠিক সেই সময়ে চোরকে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ।’’ তার আরও বক্তব্য, ‘‘আমরা প্রশাসনের কাছে চাইব অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। কিন্তু তা যদি না হয়, তাহলে ঝান্ডার পাশাপাশি ডান্ডাটাকেও শক্ত করতে হবে।’’
তা ছাড়াও এ দিন সভা থেকে আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতি এবং অমিত শাহের সঙ্গে নবান্নে মমতার বৈঠক নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এনআরসি এনপিআরের হিসেব নিতে এসেছিল অমিত শাহ।’’
ইসলামপুর এবং জলঙ্গিতে বেশ কয়েকটি সমাবেশ হলেও ডোমকলের রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এতদিন বড় কোনও সমাবেশ হয়নি সিপিএমের। কংগ্রেস ও শাসক দল তৃণমূল ইতিমধ্যেই তাদের বড় সভা সেরে ফেলেছে। ফলে সিপিএমের কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুঞ্জন উঠছিল সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে। কিন্তু এদিনের সমাবেশে জনতার ভিড় ডোমকলের সিপিএমকে যে অক্সিজেন যোগাবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সিপিএমের ডোমকল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, ‘‘ডোমকলের মাটি যে সিপিএমের, সেটা এদিনের সভা থেকেই প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ প্রশাসন যদি শাসকের পাশে না থাকে তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ডোমকলের সর্বত্র লাল পতাকা উড়বে কোনও সন্দেহ নেই।’’
তবে তৃণমূল সেলিমের সব অভিযোগই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।