এলাকার স্কুলছাত্রী ও ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে বন্ধ হল এক নাবালিকার বিয়ে। রবিবার হরিহরপাড়ার চোঁয়ার ঘটনা।
এ দিন চোঁয়ার দশম শ্রেণির ছাত্রী বিয়ে হওয়ার কথা ছিল প্রতিবেশি এক যুবকের সঙ্গে। পেশায় রাজমিস্ত্রি পাত্রকে দেখে নাবালিকার বাবা দিন স্থির করে ফেলেন। কিন্তু স্থানীয় কন্যাশ্রী যোদ্ধারা ও স্থানীয় কিছু কিশোরী সেই খবর পায়। তারা ব্লক প্রশাসনকে খবর দেয়। রবিবার সকালে তারা মল্লিকার বাড়ি পৌঁছয়।
বাড়িতে তখন ম্যারাপ বাঁধার তোড়জোড় চলছে। তারা প্রথমে ওই ছাত্রীকে ডাকে। শুরু হয় বোঝানোর পালা। নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া যে অপরাধ তাও বুঝিয়ে বলা হয়। তাকে যে হোমেও থাকতে হবে সে কথা বলা হয়। তখন ওই নাবালিকা জানায় যে, সে হোমে থাকতে পারবে না। তারপর তার পরিজনদের সে কথা জানায়। বন্ধ হয় বিয়ে। ইতিমধ্যে ওই নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছন হরিহরপাড়ার ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল। তিনি ওই নাবালিকার বাবাকে বলেন তাঁর মেয়ের পড়ার সব দায়িত্ব তিনি নেবেন।
তাতে মেয়ের বিয়ে রুখতে সম্মত হন তিনি। জানান, বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলে তবেই মেয়ের বিয়ে দেবেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে জাকিরুন বিবি বলেন, ‘‘নাবালিকা বয়সে বিয়ে হলে কী কী অসুবিধা হবে তা বোঝানো হলে ওই নাবালিকা নিজেই বিয়েতে আপত্তি তোলে। তাতেই কাজটা সহজ হয়।’’