প্রতীকী ছবি।
করোনা আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই তরুণ হওয়ায় তাদের বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ফলে সুস্থতার প্রোগ্রেস রিপোর্টে রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা জেলা মুর্শিদাবাদ।
রাজ্য জুড়ে যখন নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন শুরু হচ্ছে বিভিন্ন জেলার কন্টেনমেন্ট জ়োনে। সেই গেরোয় জেলায় নতুন করে মাত্র চারটে ব্লক সাগরদিঘি, হরিহরপাড়া, ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জের কয়েকটি জায়গা সেই জ়োনের আওতাভুক্ত হলেও তবে রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় মুর্শিদাবাদে করোনা নিয়ন্ত্রণেই আছে বলে মনে করছেন জেলার চিকিৎসক মহল। শেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৫ জন তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২০জন। শতাংশের বিচারে ৭২জন। রাজ্যে সেই হার ৬৬.২৪ শতাংশ। ঘরে বাইরে জেলার মানুষের মৃত্যূ হয়েছে চার জনের। রাজ্যে সংখ্যাটা ৮৩০।
করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের কথা বারবার প্রচার করা হয়েছে। মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। আনলক ২ চললেও প্রশাসন লকডাউন কঠোর ভাবে পালন করার দাবি তুললেও চিকিৎসকরা বলছেন জেলায় করোনা আক্রান্ত্র যারা হয়েছেন তাদের অধিকাংশই তরুণ যুবক যুবতী। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। সেই কারণেই মুখ রক্ষা হয়েছে জেলা কর্তাদের। লকডাউনের সময় ভিন্ রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ফিরলে সংক্রামিতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল বলে মনে চর্চা শুরু হয়েছিল জেলা জুড়ে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, “এটা ঠিক যে ভিন্ রাজ্য থেকে যাঁরা ফিরেছেন তাদের অনেকেরই করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। তার মানে এই নয় যে এই জেলায় তাঁরাই এই রোগের বাহক। তবে ভাল দিক হল, আমাদের জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অল্পবয়সীরা। যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের করোনা পজ়িটিভ হলেও অন্য রোগও ছিল।” পাশাপাশি তিনি বলেন জেলায় করোনা টেস্ট শুরু হওয়ার পর থেকে রোগ নির্ণয় আগের তুলনায় এখন অনেক তাড়াতাড়ি ও বেশি সংখ্যায় যেমন হচ্ছে তেমনই স্বাস্থ্যকর্মীদের লাগাতার পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ফলেই সংক্রমণ মাত্রা ছাড়া হয়নি।