—প্রতীকী চিত্র।
জরিমানার ৮০০ টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিবেশী দম্পতির হাতে খুন হলেন মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার এক যুবক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত যুবকের নাম কবীর শেখ (৩৪)। বাড়ি বরজপাড়া এলাকায়। ধারালো চাকু দিয়ে খুন করা হয়েছে যুবককে, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। সামান্য টাকার কারণে খুন? নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি গাছ থেকে আম পাড়া নিয়ে কিছু দিন আগে কবীর ও রেজাউল শেখের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। রেজাউলের পরিবারের এক সদস্য ঢিল মেরে গাছ থেকে আম পাড়ার চেষ্টা করছিলেন। কবীরের পরিবারের এক সদস্য সেই ঢিলের আঘাতে জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ হয়। পরে গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি দুই পরিবারের বিবাদের নিষ্পত্তি করার জন্য মধ্যস্থতা করেন এবং গ্রামে সালিশি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত হয়, কবীরের পরিবারের আহত সদস্যের চিকিৎসার জন্য রেজাউল ৮০০ টাকা দেবেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সালিশি সভার সিদ্ধান্ত মেনে রেজাউল 'জরিমানার ৮০০ টাকা কবীরকে দেননি। জরিমানার টাকা পাওয়ার জন্য কবীর গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকবার রেজাউলের বাড়িতে গেলেও খালি হাতেই তাকে ফিরতে হয়েছিল বলে খবর।
সলেমন শেখ নামে মৃত ওই ব্যক্তির এক আত্মীয় দাবি করেন, কবীর নিজের টাকার জন্য রেজাউলের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎই রেজাউল তাঁকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন। ঘটনার সময় রেজাউলের স্ত্রীও তাঁর সঙ্গে ছিল। খুনের ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই সুতি থানার পুলিশ এলাকায় পৌঁছয়। ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রেজাউল শেখ ও তাঁর স্ত্রী জলিকে বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘এই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সুতি থানার পুলিশ।’’