—প্রতীকী চিত্র।
সবে রাতের খাবার খেতে বসেছেন। সেই সময় জনা ১৫ লোক হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েন বাড়িতে। এর পর পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করা ব্যক্তিকে উঠোনে টেনে এনে বাঁশ, লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসায় পালিয়ে যান ওই ব্যক্তিরা। এর পর খবির শেখ নামে ওই প্রৌড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তখনই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হামলাকারীরা প্রত্যেকে দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকে শাসকদল আশ্রিত বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে এ নিয়ে চাপানউতর নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার বীরপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনী।
মৃত খবিরের ছেলে সামিউল শেখের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের সময় নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করায় তৃণমূলের মস্তান বাহিনী বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ফিয়েছে আগেই। আজ (শুক্রবার) রাতে বাবা যখন খাচ্ছিল, তখন তাকে আমাদের বাড়ির উঠোনে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তাতে বাবা মারা গিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই খুনের সঙ্গে যারা যুক্ত, পুলিশ তাদের কঠোর শাস্তি দিক।’’
ওই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে তৃণমূল। তবে এতে দলের কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেছেন নদিয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন লাল। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তবে প্রত্যেকটা মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতিকে না জড়ানোই ভাল। তৃণমূল এই ধরনের ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়।’’