প্রতীকী ছবি।
ছেলের গৃহশিক্ষকের বেতন দিতে না পারায় স্ত্রীর সঙ্গে বিতণ্ডা। পারিবারিক সেই অশান্তির জেরেই অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক প্রৌঢ়। ঘটনাটি নদিয়ার কোতোয়ালি থানা এলাকার সুবর্ণ বিহার গ্রামের। মৃতের নাম নাড়ুগোপাল প্রামাণিক (৫৩)। অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাড়ুগোপালের ছেলের গৃহশিক্ষকের মাইনে বাবদ ২০০ টাকা বাকি ছিল। বকেয়া বেতন না মেটানোর ফলে ছেলে লজ্জায় টিউশনি নিতে যেতে পারছিল না। নাড়ুগোপালের কাছে সেই মুহূর্তে কোনও টাকা না থাকায় তিনিও এই টাকা দিতে পারেননি। তাঁর স্ত্রী রূপালি প্রামাণিকও সমবায় সমিতি থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এই সব নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত। রূপালি বলেন, ‘‘আমার স্বামী কোনও কাজ করতে চাইতেন না। অনটনের কারণে সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত। তবে আত্মহত্যা করবেন ভাবতেও পারিনি।’’
পারিবারিক সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, নাড়ুগোপাল এবং রূপালির বছর ২০ আগে বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে। বিয়ের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। তবে তার পরিণতি যে এটা হবে তা মেনে নিতে পারছেন না আত্মীয়-পরিজনেরা।