বীরভূম থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। —প্রতীকী চিত্র।
চাকরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করা এবং যুবককে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার বাসিন্দা দিবাকর কনুই। আব্দুর রহমান নামে এক যুবক গত ২৭ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যা করেছিলেন। সুইসাইড নোটে মেলে দিবাকরের নাম।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার মধ্যরাতে বীরভূম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দিবাকরকে। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার লালবাগ মহাকুমা আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন ‘প্রতারিত চাকরিপ্রার্থী’ আব্দুর রহমান। প্রথমে কোনও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেহ কবরস্থ করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু পর দিন উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী আব্দুরের বাড়িতে যান ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা এবং অন্য নেতারা।
এর পর লালগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃত যুবকের বাবা মফিজুদ্দিন শেখ। অভিযোগ করেন, প্রাইমারিতে চাকরির জন্য দিবাকর কনুই নামের এক ব্যক্তিকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে আব্দুর রহমান। এসএসসি গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। কিন্তু দিবাকর তাঁকে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই তরফের পরিচিত রেহেশান শেখের মাধ্যমে মোটা টাকা নেন। কিন্তু চাকরি আর হয়নি। টাকাও ফেরত পাননি ওই যুবক। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে কীটনাশক খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি। ওই মামলার তদন্তে নেমে অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এ নিয়ে বহরমপুরে সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘‘এত দিন শাসকদল অপরাধীকে লুকিয়ে রেখেছিল। এখন বেকায়দায় পড়ে তাঁকে গ্রেফতারির নামে নাটক করছে!’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘নিন্দার আর ভাষা নেই। প্রতিবাদের ভাষা নেই বাংলা জুড়ে নৈরাজ্য চলছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রতি দিন পুজোর উদ্বোধন করছেন। আর এ দিকে নতুন নতুন কুকীর্তির উন্মোচন হচ্ছে।’’