Murder in Murshidabad

স্ত্রী কার? প্রথম পক্ষের স্বামীর মারে মৃত্যু দ্বিতীয় পক্ষের, মুর্শিদাবাদের গ্রাম থেকে গ্রেফতার

স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে শুভর সঙ্গে বিয়ে হয় স্থানীয় কুড়লি গ্রামের বাসিন্দা শ্রাবণী দাসের। পরে শ্রাবণী এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্ত্রী কার? এই নিয়ে শুরু দ্বন্দ্ব। সেই ‘যুদ্ধে’ প্রথম পক্ষের স্বামীর হাতে খুন হলেন দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার জামুয়ার গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফকার করেছে পুলিশ। খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিশাল দাস। বয়স ২৩ বছর। আর অভিযুক্তের নাম শুভ মাঝি। রঘুনাথগঞ্জ থানার সেলালপুরের বাসিন্দা তিনি। স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে শুভর সঙ্গে বিয়ে হয় স্থানীয় কুড়লি গ্রামের বাসিন্দা শ্রাবণী দাসের। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। পরে শ্রাবণী এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি। মাস দুই আগে স্বামী-সন্তান ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছাড়েন শ্রাবণী। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামে সালিশি সভা বসে। অন্য দিকে প্রথম পক্ষের স্বামীর কাছে শ্রাবণী ফিরতে নারাজ ছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল জারি থাকে।

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহ দুই আগে শ্রাবণী স্বামী-সন্তান ছেড়ে দ্বিতীয় বার বিশালের কাছে চলে যান। তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার শুরু করেন। কিন্তু প্রথম পক্ষের স্বামীর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি বলে খবর। তার পরেই বুধবার রাতে গন্ডগোল শুরু হয়। জানা গিয়েছে, শ্রাবণীর প্রথম পক্ষের স্বামী শুভ ধারালো অস্ত্র নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর বাড়িতে চড়াও হন। ঘুমন্ত বিশালের গলায় অস্ত্রের কোপ মারেন বলে অভিযোগ। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় বিশালের।

Advertisement

ওই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement