মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
দু’দিন আগেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অসম থেকে বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের দলের সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে। আর বুধবার তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুল গান্ধীর সেই দাবী নস্যাৎ করে বাংলায় একা চলার কথা বলেছেন। এ সবের মাঝে, এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পিঠোপিঠি কর্মসূচিতে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী। ৩১ জানুয়ারি বহরমপুর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে। আর ১ ফেব্রুয়ারি বহরমপুরে রাহুল গান্ধীর আসার কথা। আর এই দুই ভিভিআইপি-র পিঠোপিঠি কর্মসূচি ঘিরে সাজো সাজো রব বহরমপুরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা বহরমপুর স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেছেন। তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরেও। এই দুই কর্মসূচি ঘিরে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যেও তৎপরতা দেখা দিয়েছে।
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘আগামী ৩১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুর স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ডালি নিয়ে আসছেন।’’ তবে পরের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী বহরমপুরে থাকবেন কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
আগেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মুর্শিদাবাদের কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা মালদহ থেকে ফরাক্কা হয়ে মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করছে। সব ঠিক থাকলে পরে সেই ন্যায়যাত্রা রঘুনাথগঞ্জ, লালগোলা, ভগবানগোলা, লালবাগ হয়ে সেদিনই বিকেল তিনটে নাগাদ বহরমপুর পৌঁছনোর কথা।
অন্য দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজ্য প্রশাসনের তরফে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে ৩১ জানুয়ারি বহরমপুরে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেদিন বিকেলে বহরমপুর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক সভায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস এবং পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান হবে।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘১ ফেব্রুয়ারি বহরমপুর স্টেডিয়ামে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা পৌঁছবে। কর্মসূচি জানতে আরও দু-তিন দিন সময় লাগবে।’’