দশ মিনিটের ‘স্টপ ওভার’। তার পরেই উড়ে গেল কপ্টার।—নিজস্ব চিত্র
মালদহ থেকে কপ্টারে কলকাতা ফেরার পথে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় বহরমপুরে নেমে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্টপওভার’ বা অবতরণ ছিল সাকুল্যে মিনিট দশেকের। আবহাওয়া ক্রমশ খারাপ হতে থাকায়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল মারফত সে খবর পৌঁছতেই কপ্টারের চালক আর দেরি করতে চাননি। জেলা কর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেই ফের কলকাতার দিকে উড়ে যায় তাঁর কপ্টার।
মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার নামতে পারে, এমন সম্ভাবনা থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বহরমপুর স্টেডিয়ামে যথাযথ ব্যবস্থা করেছিল জেলা প্রশান। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব, ডিআইজি (মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ) মুকেশ কুমার। তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টই বারণ করে দেওয়ায় বহরমপুর স্টেডিয়ামে জেলা নেতাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। স্টেডিয়ামের বাইরে চাক বাঁধা ভিড়টা সামাল দিতে তখন পুলিশের হিমসিম অবস্থা।
কপ্টার নামতেই সেই ভিড়টা থেকে উচ্ছ্বাস ছিটকে আসে। জেলা কর্তারা চায়ের ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে, কপ্টার থেকে নেমে চেয়ারে বসে কর্তাদের সঙ্গে নিতান্তই কুশল বিনিময়ের মাঝেই খবর আসে অপেক্ষা করা যাবে না। ফলে ফের উড়ানের প্রস্তুতি নিতে হয় তাঁকে। ডিআইজি মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘আবহাওয়া খারাপ থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার বহরমপুরে নেমেছিল। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই আবহাওয়া ভাল হয়েছে খবর পেয়েই কলকাতার উদ্দেশে উড়ে যেতে হয় তাঁকে।’’
গত কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া ভাল ছিল না, কখনও মেঘলা মাঝে মাঝে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী। এ ফেরার দিন, বৃহস্পতিবারও আবহাওয়া ভাল ছিল না। জোরালো হাওয়া ছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার জরুরি অবতরণ করতে পারে অনুমান করে এ দিনও তাই কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, শমসেরগঞ্জ ও সাগরদিঘিতে ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বহরমপুরে সার্কিট হাউসেও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা বহরমপুরের হেলিপ্যাডে উপস্থিত ছিলেন। বহরমপুর থেকে সড়কপথে কলকাতা যাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল।