উদ্বোধন হল স্টেডিয়ামের। সোমবার তেহট্টে। নিজস্ব চিত্র
প্রতীক্ষার অবসান। সোমবার বোলপুর থেকে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে তেহট্ট মহকুমার একমাত্র স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী স্টেডিয়ামের নাম রেখেছেন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ক্রীড়াঙ্গন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল একটি স্টেডিয়ামের। সেই দাবি মতোই এলাকার বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। স্টেডিয়াম করার অনুমোদন দেওয়া হয় রাজ্য ক্রীড়া দফতর থেকে। ২০১৮ সালে তেহট্টের বেতাই জিৎপুর কিসান মান্ডির কাছে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ একর জমির উপর শুরু হয় স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা মতো আজ সেই উন্নত মানের স্টেডিয়ামের শুভ উদ্বোধন হয়।
এই উপলক্ষে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ভূমি ও রাজস্ব দফতর আধিকারিক অনীশ দাশগুপ্ত, তেহট্টের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত, তেহট্টের মহকুমা শাসক মৌমিতা সাহা সহ অন্যরা।
এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন এলাকার ক্রীড়াপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ। আর ছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এই স্টেডিয়ামের নাম মুখ্যমন্ত্রী বেতাই সংলগ্ন এলাকার মতুয়া সম্প্রদায়কে উৎসর্গ করে তাদের পথপ্রদর্শক হরিচাঁদ গুরুচাঁদের নামে রেখেছেন। কিন্তু হঠাৎ মতুয়া সম্প্রদায়কে উৎসর্গ করে কেন স্টেডিয়ামের নাম? এ বিষয়ে বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘এ রাজ্যে মতুয়া সম্প্রদায়কে উৎসর্গ করে হয়েছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কংগ্রেস এবং বাম জমানায় এই সম্প্রদায়ের নামে কোনও স্টেডিয়ামের নাম রাখা হয়নি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সেই পদক্ষেপ করেছেন।’’
এ দিনের এই উদ্বোধনে এসেছিলেন ঠাকুরনগরের মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যরা। সেই মহাসঙ্ঘের সহ সভাপতি নরোত্তম বিশ্বাস। তিনিও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে শেষমেশ স্টেডিয়ামের উদ্বোধনে খুশি এলাকার মানুষ। বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে যে সমস্ত টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হত, তা বিভিন্ন স্কুলের মাঠে অনুষ্ঠিত হত। যে কারণে ব্যাঘাত ঘটত ওই স্কুলগুলির পঠনপাঠনে। সে কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরেই শুরু করতে হত সেই খেলা। কাজেই স্টেডিয়াম হওয়ায় সেই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে না ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে।
বিধায়ক অবশ্য জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি স্টেডিয়ামে উচ্চ মানের খেলা শুরু হবে। করা হয়েছে গ্যালারি। যেখানে হাজার হাজার মানুষ খেলা উপভোগ করতে পারবেন। খেলোয়াড়দের জন্য রয়েছে উন্নত মানের ড্রেসিংরুম।