ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
একেই বোধহয় বলে প্রাপ্তিযোগ!
হেলিকপ্টারে ওঠার আগে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্টেডিয়ামের হাল দেখে ভাল লাগেনি তাঁর। তাঁকে বিদায় জানাতে এসেছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। তাঁকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নামে স্টেডিয়ামটির হাল এমন কেন? প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানান, তেমন কোনও সদুত্তর না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘স্টেডিয়ামের পরিকাঠামোর আরও উন্নত করতে হবে। টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু হল ক্রীড়াপ্রেমী কৃষ্ণনাগরিকদের।
মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মার কথা স্বীকার করেছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটা প্রকল্প তৈরি করে দ্রুত পাঠিয়ে দেব।’’
প্রশাসনিক জনসভা করতে জেলায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কৃষ্ণনগর থেকে হেলিকপ্টারে করে বারাসতে যান মুখ্যমন্ত্রী। অস্থায়ী হেলিপ্যাড করা হয়েছেল সার্কিট হাউজের কাছে কৃষ্ণনগর স্টেডিয়ামের মাঠে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। তখনই মুখ্যমন্ত্রী ওই নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছিল ১৯৭০-৭১ সালে। তার পর মাঠের উন্নতি হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। এই মাঠে শুধু রাজ্য স্তরে নয়, জাতীয় স্তরের একাধিক খেলাও হয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামো তেমন উন্নত নয়। মাঠেরও সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল বেশ কিছু দিন ধরে। কিন্তু অর্থাভাবে সেটা করা যাচ্ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ শোনার পর তাই খুশি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ থেকে শহরবাসী। নদিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর। আমাদের কিছু কাজ করার ছিল। টাকা অভাবে হয়ে উঠছিল না।’’ তাঁর দাবি, গ্যালারির ছাউনি থেকে শুরু করে উন্নত ড্রেসিং রুম তৈরি করাটা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে মাঠেও উচুঁ করতে হবে। বর্ষায় জল জমে।