Murshidabad

প্রেম দিবসে ‘দুর্ঘটনা’, ১৩ দিন পর হাসপাতালে মৃত্যু প্রেমিকার, ধৃত প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ!

প্রথমে আহত তরুণীকে ভর্তি করানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। পরে স্থানান্তর করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সরস্বতী পুজোর দিন প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তরুণী। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসে বাইকে চেপে ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় তরুণীর পরিবারের কাছে খবর যায়, পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থলে যান পরিবারের সদস্যেরা। তরুণীকে ভর্তি করানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্থানান্তর করা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবার সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। আর তার পরই প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনল মৃতার পরিবার।

Advertisement

পরিবারের দাবি, হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, মাথায় ভারী এবং ভোঁতা কিছুর আঘাত ছিল তরুণীর। মৃতার সদস্যদের অভিযোগ, ওই আঘাত মোটেই পথদুর্ঘটনার ফলে হতে পারে না। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের খাগড়া শ্মশানঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তরুণীর। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীর মৃত্যুর খুনের ধারা যুক্ত হতে পারে যুবকের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বহরমপুর থানা এলাকার গোরাবাজার এলাকার বাসিন্দা শেখ সিরাজের (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে রঘুনাথগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সংযুক্তা চক্রবর্তী (নাম পরিবর্তিত) নামে এক তরুণীর দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পড়াশোনার সূত্রে ওই তরুণী এক বছর যাবত বহরমপুরে থাকতেন। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি বহরমপুর মাকরানা মোড় এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সংযুক্তা। খবর দেওয়া হয় তরুণীর বাড়িতে। প্রথমে তরুণীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। অবস্থা দেখে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তার পর এসএসকেএম হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল সংযুক্তার। তার মধ্যে সিরাজের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। এখন তরুণীর মৃত্যুতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের ধারা যোগ করা হতে পারে।

Advertisement

মৃতার বাবার অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়ে কোনও দুর্ঘটনা মারা যায়নি। ওকে খুন করার উদ্দেশ্য নিয়ে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে লোহার রড এবং অন্য কোনও ভারী জিনিস দিয়ে মারধর করা হয়েছে। আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। আমি ওই যুবকের ফাঁসি চাই।’’

এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তদন্ত চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement