ব্রাত্য পেটো, বাজারে কাটছে টর্চ-বোমা

মুচকি হাসছে বোমার কারবারি, ‘‘টাইমের সঙ্গে সঙ্গে জিনিসেও বদল আনতে না পারলে সব ফর্সা (পড়ুন, কারবার শিকেয় উঠবে) হয়ে যাবে! এখন বাজারে ডিমান্ড রয়েছে টর্চ আর বলের।’’

Advertisement

কৌশিক সাহা

কান্দি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০০:১২
Share:

সকেটের দিন গিয়েছে। ব্রাত্য পেটোও!

Advertisement

তা হলে এখন কী চলছে?

মুচকি হাসছে বোমার কারবারি, ‘‘টাইমের সঙ্গে সঙ্গে জিনিসেও বদল আনতে না পারলে সব ফর্সা (পড়ুন, কারবার শিকেয় উঠবে) হয়ে যাবে! এখন বাজারে ডিমান্ড রয়েছে টর্চ আর বলের।’’ মুর্শিদাবাদ ও পড়শি বীরভূম, বর্ধমানের কিছু এলাকায় তৈরি হওয়া টর্চ আর বল বোমার ভোটের বাজারে কাটতিও বেশ ভাল বলেই জানাচ্ছে কারবারিরা।

Advertisement

তাদের এক জন জানাচ্ছে, পুলিশের জন্য এখন প্রায় সারা বছর বসে থাকতে হয়। পেটো ও সকেটের সে ভাবে ‘ডিমান্ড’ নেই। তাই লোকসভা ভোটের মুখে বহু ভাবনা-চিন্তা করে এই টর্চ বোমা ও বল বোমা তৈরি করা হচ্ছে।

বারুদ কারবারিদের দাবি, এ জিনিস সকেট ও পেটোর থেকে শক্তিশালী। আবার সহজেই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। এক ঝলক দেখলে সন্দেহ করাও কঠিন। তবে খরচ একটু বেশি। ভোটের বাজারে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান তো বটেই, অন্য জেলা থেকেও লোকজন এসে বেশ বেশি দামেই সে সব কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ওই কারবারিরা জানাচ্ছে, গত বিধানসভা ভোটেও বোমার বাজার ভাল ছিল। সেই সময় বোমা বাঁধার মশলার দাম বেশ কম ছিল। কিন্তু সেটা এখন দ্বিগুণ হয়েছে। এক কেজি বারুদের দাম ছিল ১৫০০ টাকা। কিন্তু এখন তার দাম প্রায় ৩২০০ টাকা। এক কেজি বারুদে দু’ব্যাটারি স্টিল-বডির টর্চে বোমা হবে মাত্র পাঁচটি। আর বল বোমা মানে প্লাস্টিকের শক্ত বলের মধ্যে বারুদ। এক কেজি বারুদে প্রায় আটটি বল বোমা হয়। টর্চ বা বল-বোমা তৈরি করতে পরিশ্রম কম আবার লাভও অনেক বেশি।

কারবারিদের এক জনের কথায়, ‘‘বলের জোগান পেতে সমস্যা হয় না। কিন্তু স্টিলের টর্চ পাওয়া একটু সমস্যার। টর্চ বোমা বিকোচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। আর বল বোমার দাম সাতশো টাকায়। বর্ধমানের কেতুগ্রামের বেশ কিছু এলাকায় ওই বোমার চাদিহা সবথেকে বেশি।’’

একই সঙ্গে ওয়ান শটার ছেড়ে সেভেনএমএম পিস্তলেরও চাহিদা বেড়েছে ভোটের মুখে। যদিও জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘যে ভাবে পুলিশ দফায় দফায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে তাতে ওই অস্ত্র কারবারিরাও সিঁটিয়ে গিয়েছে।’’

তবে কারবার যে একেবারেই বন্ধ সেটা বলতেও নারাজ জেলা পুলিশের একাংশ। তাদের দাবি, এক দিকে বাংলাদেশ ও কাছেই বিহার। ফলে এই জেলা অস্ত্র কারবারিদের প্রধান করিডর। তবে পুলিশ কড়া নজর রাখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement