তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে মানবেন্দ্র দত্ত। নিজস্ব চিত্র
লোকসভা নির্বাচনের আগে রানাঘাট লোকসভার অন্তর্গত চাকদহ শহরে বড়সড় ধাক্কা খেল সিপিএম। চাকদহের প্রাক্তন পুরপ্রধান সদস্য ও সিপিএম নেতা মানবেন্দ্র দত্ত শ’তিনেক সিপিএম কর্মীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
রবিবার রাতে চাকদহ শহরে নির্বাচনী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রত্না ঘোষ, চাকদহ শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি সাধন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মানবেন্দ্র তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে এবং মন্ত্রী রত্না ঘোষের নেতৃত্বে চাকদহে যে উন্নয়ন শুরু হয়েছে, তাতে সামিল হওয়ার জন্য আমি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’’
রত্না জানান, এলাকার উন্নয়নের জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি, বিজেপির থাবা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে। সেই কাজ তৃণমূল করে চলেছে। আমি কাজের মানুষ। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।” রাজ্যের মন্ত্রী রত্না বলেন, “চাকদহ শহরে মানবেন্দ্র সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছি। তাঁর সম্পর্কে সকলের ভাল ধারণা। এলাকায় ভাল মানুষ বলে পরিচিত। তাঁকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’
তৃণমূল ভয় দেখিয়ে দল থেকে লোক ভাঙাচ্ছে বলে দাবি করেছেন সিপিএমের চাকদহ এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বর্ণেন্দু দত্ত। তিনি বলেন, “আমিও শুনেছি মানবেন্দ্র দত্ত তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি আমাদের দলের সদস্য ছিলেন। পাঁচ বছর চাকদহ পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের দলের নেতা কর্মীদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’’
রানাঘাটে প্রচারের ময়দানে তৃণমূল প্রার্থীকে সমানে টক্কর দিচ্ছেন সিপিএমের রমা বিশ্বাস। জোরকদমে জনসংযোগ ও প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। এই অবস্থায় মানবেন্দ্রের দলবদলে কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। তবে স্বর্ণেন্দু বলেন, ‘‘মানবেন্দ্রর দলবদলে কোনও ক্ষতি হবে না।’’