প্রচার শুরু জগন্নাথের, এলেন না বিরোধীরা

বৃহস্পতিবার শান্তিপুর থেকে প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী তথা দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩২
Share:

শান্তিপুরে প্রচারে জগন্নাথ সরকার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

এক দিকে দেওয়াল থেকে আগের প্রার্থীর নাম মোছা। আর এক দিকে নতুন প্রার্থীকে নিয়ে পথে বেরনো।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শান্তিপুর থেকে প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী তথা দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জগন্নাথ সরকার। প্রথম দিনের প্রচারে তাঁর বিরোধী শিবিরের লোকেদের দেখা গেল না। থাকলেন না প্রার্থী হতে গিয়েও হতে না পারা মুকুটমণি অধিকারীও।

রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী নিয়ে টানা কয়েক দিনের নাটকের পরে দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন ছাড়পত্র না পাওয়া সরকারি চিকিৎসক মুকুটমণি। শিকে ছিঁড়েছে জগন্নাথের ভাগ্যে। এ দিন শান্তিপুরের আড়বান্দি ২ পঞ্চায়েতের আড়পাড়া গ্রামে নিজের পাড়া থেকেই তিনি প্রচার শুরু করেন। পরে গোবিন্দপুর ঘুরে নবদ্বীপে সাইকেল মিছিল ও শান্তিপুরে কর্মিসভায় যোগ দেন।

Advertisement

চুনকাম: মুছে ফেলা হচ্ছে রানাঘাটে বিজেপির আগের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর নাম। শান্তিপুরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বিজেপির হয়ে চার জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। মুকুটমণি বাতিল হয়ে যেতে পারেন বুঝেই জগন্নাথকে বিকল্প হিসেবে রেখেছিল দল। কিন্তু তাঁরা ছাড়াও দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায় এবং আর এক সভাপতি দিব্যেন্দু ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ সুজিত বিশ্বাস মনোনয়ন জমা দেন। দল প্রতীক না দেওয়ায় তাঁদের মনোনয়ন বানচাল হয়ে গিয়েছে। এঁরা সকলেই জগন্নাথের বিরোধী শিবিরের লোক বলে পরিচিত। এবং কাউকেই এ দিন প্রচারে দেখা যায়নি। লক্ষণীয় ভাবে‌ অনুপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরের কিছু নেতাও। জগন্নাথ অবশ্য দাবি করেন, “যাঁদের এলাকায় প্রচার ছিল না, তাঁরা ছিলেন না। সবাই প্রচারে নামবেন। আমরা এক সঙ্গে লড়ব।’’ পরে মুকুটমণিকেও সঙ্গে নিয়ে প্রচার করবেন বলে তিনি জানান।

এ দিন সশরীরে হাজির না হলেও মানবেন্দ্রনাথ বলেন, “দলের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য সকলেরই ঝাঁপানো উচিত।’’ দিব্যেন্দুরও এক সুর, “দলের নির্দেশ মেনেই কাজ করব।’’ তবে পুরনো গোষ্ঠী কোন্দল সরিয়ে রেখে বিজেপি কতটা একজোট হতে পারবে, সেই প্রশ্নটা রয়েই গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement