নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত রেলের সেই গেস্ট হাউস। নিজস্ব চিত্র
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি বিজড়িত ভবন ভেঙে ফেলবে রেল। এই জল্পনায় সরগরম মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা। শতবর্ষ প্রাচীন ওই বাড়িটি হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে রেলের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
স্বাধীনতা সংগ্রামের বহু ইতিহাস জড়িয়ে আছে মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে। এক সময় বেলডাঙায় পা রেখেছিলেন নেতাজি। ষ্টেশন সংলগ্ন বাড়িতে রাত কাটান তিনি। পর দিন সকালে বেলডাঙা হরিমতি স্কুলের কাছে তাঁকে দেওয়া হয় নাগরিক সম্বর্ধনা। সেই স্মৃতি আঁকড়ে রেখেছে বেলডাঙা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সম্প্রতি জানা গিয়েছে রেলের জমিতে থাকা ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে। এলাকার বাসিন্দা সন্তোষরঞ্জন দাস যেমন বললেন, ‘‘বাড়িটির বয়স ১১৫ বছর। এটা রেলের গেস্ট হাউস ছিল। এখানে নেতাজিকে সম্মান জানানো হয়। এই ভবনটি না ভেঙে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছি আমরা। বেলডাঙার ষ্টেশন মাস্টার এবং ঠিকাদারি সংস্থাকেও বলা হয়েছে। রেলের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’
একই কথা বলছেন আর এক স্থানীয় বাসিন্দা তাপস মুখোপাধ্যায়ও। তাঁর মতে, ‘‘আমাদের বেলডাঙা শহরের ঐতিহ্য এই গেস্ট হাউস। এখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রাত কাটিয়েছিলেন। কিন্তু এটাকে রেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তার প্রতিবাদ করছি। রেলের কাছে আবেদন, যেন বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়।’’
বেলডাঙায় রেলের গেস্টহাউসে নেতাজি। নিজস্ব চিত্র
তাই স্থানীয় বেলডাঙা অহল্যা লোকসংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র এবং মুর্শিদাবাদ জেলা ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে নেতাজির স্মৃতি রক্ষায় কোমর বেঁধে নেমেছেন স্থানীয়রাও। শনিবার নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে ওই ভবনটি রক্ষার ‘অঙ্গীকারবন্ধ’ হয়েছেন তাঁরা। নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য প্রতিক্রিয়া দেয়নি রেল। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কমল দেওদাস বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’