TMC

TMC: নেতৃত্ব বদলে ক্ষুব্ধ, নেত্রীকে চিঠি বুথ থেকে

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথ সভাপতিরা চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁরা পরপর দু’টি নির্বাচনে একনিষ্ঠ লড়াই করে দলের জয় ছিনিয়ে এনেছেন।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

গয়েশপুর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুরসভা ও শহরের সাংগঠনিক রদবদল পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়েছেন গয়েশপুর পুর এলাকার বুথ সভাপতিরা। মোট ১৮টি ওয়ার্ডের ৫৫টি বুথের অধিকাংশ বুথ সভাপতিই সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথ সভাপতিরা চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁরা পরপর দু’টি নির্বাচনে একনিষ্ঠ লড়াই করে দলের জয় ছিনিয়ে এনেছেন। কিন্তু সম্প্রতি সংগঠন ও পুরসভার যে রদবদল হয়েছে, তার আগে দল বা সমীক্ষা সংস্থা ‘আইপ্যাক’-এর তরফে বুথ সভাপতিদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। কুৎসা রটিয়ে আগের পুর প্রশাসক ও প্রাক্তন শহর সভাপতিকে পদচ্যুত করা হয়েছে বলেও তাঁদের দাবি।

তৃণমূল সূত্রের খবর, পদচ্যুত হওয়ার পরে প্রাক্তন পুর প্রশাসক মরণকুমার দে এবং দলের প্রাক্তন শহর সভাপতি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের জায়গায় ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। নতুন শহর সভাপতি কৌশিক ঘোষকে সরিয়ে মরণের খুড়তুতো ভাই মিন্টু সভাপতি হতে চাইছেন। অন্য দিকে নিজের পদ ফিরে পেতে চাইছেন সুকান্ত। তবে মিন্টু প্রকাশ্যে বলছেন, “দলের সিদ্ধান্তই শিরোধার্য।” আর সুকান্ত শুধু বলেন, “আমি শুনেছি, বুথ সভাপতিরা চিঠি দিয়েছেন।” এর বেশি আর কোনও কথা তিনি বলতে চাননি।

Advertisement

যাঁরা নেত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছেন, তাঁদের এক জন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ২৫০ নম্বর বুথের সভাপতি রামলাল পাসওয়ানের অভিযোগ, “নতুন সভাপতি কৌশিক ঘোষ ও পুরসভার চেয়ারপার্সন যে সব কর্মসূচি নিচ্ছেন, তা আমাদের জানাচ্ছেন না। আমাদের মতো কর্মীদের মন ভেঙে যাচ্ছে।” ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩৬ নম্বর বুথের সভাপতি কিশুন মান্ডিও অনেকটা একই সুরে কথা বলছেন।

তবে এঁদের পদও আর অক্ষত থাকছে কি না, সন্দেহ। বর্তমান শহর সভাপতি কৌশিক জানান, সভাপতি বদলের সঙ্গে সঙ্গে আগের কমিটি ভেঙে যায়। নতুন করে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। বুথ সভাপতিরাও ফের নতুন করেই বহাল হবেন। কৌশিকের দাবি, বুথ সভাপতিদের অনেক স্বাক্ষর তাঁদের নিজেদের না। দলেরই কেউ বা কারা বুথ সভাপতিদের বাড়ির লোকেদের দিয়ে স্বাক্ষর করিয়েছে।

সংগঠনে রদবদল প্রসঙ্গে কৌশিক বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্তেই আমি শহর সভাপতি হয়েছি। কাল যদি দল অন্য কাউকে সভাপতি করে, সেটাও দলীয় সিদ্ধান্তেই হবে।”

মরণ দে-র মতেও, “এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই দলের কর্মকাণ্ডে থাকা উচিত।” পুরসভায় সদ্য চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পাওয়া সুরজিৎ সরকারের বক্তব্য, “আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।”

তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার নতুন সভানেত্রী রত্না ঘোষ বলেন, “বুথ সভাপতিরা চিঠি দিয়েছেন, এমন কিছু আমি জানি না। তবে দিদির কাছে সবাই নিজের কথা জানাতেই পারে। এখানে আমার কিছু বলার নেই। উচ্চতর নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা দলের ব্যাপার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement