—ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রের কৃষি বিলের প্রতিবাদকে হাতিয়ার করেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ফের পথে নামল সিপিএম। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে শুক্রবার নদিয়া জেলা জুড়েই কোথায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হল, কোথাও হল পথসভা।
সকালেই ফুলিয়ায় সিপিএমের শান্তিপুর ব্লক অফিসের সামনে কৃষক সভার নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভ হয়। ফুলিয়া-তাহেরপুর রাস্তা অবরোধ করা হয় বেশ কিছু ক্ষণ। ডিওয়াইএফ বা সিটুর সমর্থকেরাও পথে নামেন। এ ছাড়াও তাহেরপুর থানার বাদকুল্লায় ধানহাট মোড়ে সভা করে কৃষক সভা হয়। রানাঘাট কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধও করা হয়। স্বল্প সময়ের জন্য পথ অবরোধ হয় রানাঘাটেও।
নাকাশিপাড়ার বেলা ১১টা থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে সিপিএমের লোকজন। স্ট্যাচুর মোড়ে পথসভাও করা হয়। কালীগঞ্জ ব্লকের পলাশিতেও জাতীয় সড়ক পথ অবরোধ হয়। একই সময়ে করিমপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। দুপুরে ঘাটিগাছায় রানাঘাট ১ ও ২ ব্লক সংগঠনের সদস্যেরা দুটো গরুর গাড়িও নিয়ে এসে হাজির হন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কিছু ক্ষণের জন্য অবরোধ করা হয়। বিকেলে তেহট্টের শ্যামনগর তিন রাস্তার মোড়ে পথ অবরোধ করেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। কৃষকেরা জমির লাঙ্গল এনে এবং রাস্তায় ধান ছিটিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের বিরোধিতা করেন। পরপর ভোটে ভরাডুবির পরে গ্রামে-শহরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বামেরা। তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথের মধ্যেও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। সিপিএমের দাবি, কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের কারণে কৃষকদের চরম সমস্যার মুখে পড়তে হবে। সেই কারণেই বিষয়টি তারা সামনে আনতে চাইছে। যদিও কেন এই বিল উপকারে আসবে তা বিজেপি চাষিদের বোঝানোর চেষ্টা শুরু করেছিল। এখন বামেরা তার পাল্টা প্রচার নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছে। আর সেই সুযোগে হারানো জনভিত্তি ফিরে পাওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে।
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দেবাশিস আচার্য অবশ্য বলেন, “এটা কোনও নতুন কথা নয়, নতুন কাজও নয়। এটাই বামপন্থীদের কাজ। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল আর বিজেপি। বামপন্থীরা যে রাস্তায় আছে তা লকডাউনের সময় থেকেই স্পষ্ট। ভোটের কথা মাথায় রেখে এ সব করা হচ্ছে না।” তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র বাণীকুমার রায় বলেন, “এখন যাঁরা দিল্লিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগাযোগ করেছেন। ৮ ডিসেম্বর প্রতিটি ব্লকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন হবে। এখন পশ্চিমবঙ্গে বামেদের একটাই লক্ষ্য, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা।”