সাইকেলে প্রচার তৃণমূলের। বুধবার শান্তিপুরে। নিজস্ব চিত্র।
প্রচারের পালা সাঙ্গ হল। এ বার দু’দিনের বিরতি। শনিবার পরীক্ষা হবে শান্তিপুরের বিধায়ক-ভাগ্য।
বুধবার উপনির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে ঝড় তুলল সব দলই। প্রার্থীরা যেমন বেরিয়েছেন জনসংযোগে, কয়েক জায়গায় বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারাও এসেছেন। তৃণমূল এবং বিজেপির দুই মতুয়া মুখ মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরও হাজির ছিলেন শেষবেলার প্রচারে।
এ দিন বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা প্রচারে আসেন। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দু’টি সভা করেন শান্তিপুর শহরের সারদাপল্লি এবং শান্তিগড় কলোনীতে। পরে গয়েশপুরে একটি র্যালিও করেন তিনি। সকালেই শান্তিপুরে প্রচারে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে হাজির হয়েছিলেন ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালও। জনসভায় শুভেন্দু অভিযোগ করেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই, বেকারত্ব বাড়ছে। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, “এরা মোদিজীর ফুড সিকিউরিটি-কে ‘খাদ্যসাথী’ নাম দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে নাম দিয়েছে ‘বাংলা আবাস যোজনা’। মোদিজীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দিয়েছেন ‘নির্মল বাংলা মিশন’। অন্তত ৩০টা স্কিম গ্রামে চালানো হচ্ছে যেগুলো আসলে মোদিজীর স্কিম।”
শান্তিপুরে কিছু মতুয়া ভোট থাকায় সে দিকে লক্ষ্য রয়েছে সব পক্ষেরই। বুধবার বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে কয়েক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামীর সমর্থনে প্রচারে আসেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এর আগেও তিনি প্রচার করে গিয়েছেন। এ দিন তিনি জনসভা করেন। ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পরে তিনি বাড়ি-বাড়ি গিয়েও ভোটের প্রচারে যোগ দেন।
সিপিএমের নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে এসেছিলেন শতরূপ ঘোষ। এ দিন তিনি র্যালিতে যোগ দেন দলীয় প্রার্থী সৌমেন মাহাতোর সঙ্গে। কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পালের সমর্থনে বিকেলে প্রচারে আসেন লোকসভায় বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শান্তিপুর শহরে একটি র্যালিতে যোগ দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহা প্রমুখ।
বড় নেতাদের কর্মসূচি বাদ দিলেও সব দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা এ দিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন। পদযাত্রা, সাইকেল-বাইক র্যালি ছাড়াও বাড়ি বাড়ি ঘুরে শেষ প্রচার সারা হয়েছে।
এ বার জনমতের প্রতীক্ষা।