Jagaddhatri Puja

১,৪০০ কেজি ঘি আর ৫০ কুইন্টাল চাল দিয়ে তৈরি হয় বুড়িমার ভোগ, বিতরণ হয় লক্ষ লক্ষ ভক্তের মধ্যে

চলতি বছর কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজো ২৫২ বছরে পা দিয়েছে। প্রতি বারের মতো এ বারও আশা করা হচ্ছে ১০ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় জমবে মণ্ডপে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০২
Share:

কৃষ্ণনগরে বুড়িমার পুজো দেখতে ভিড় জমান লক্ষ লক্ষ ভক্ত। — নিজস্ব চিত্র।

২০০ কেজি দারুচিনি, ১,৪০০ কেজি ঘি, ৫০ কুইন্টাল গোবিন্দভোগ চাল। তার সঙ্গে মেশানো হয় আরও কয়েক কুইন্টাল কাজু, কিশমিশ। এই দিয়েই রান্না করা হয় কৃষ্ণনগরের বুড়িমার ভোগ। কুপন কেটে সেই মহাপ্রসাদ পান অন্তত ৩৫ হাজার ভক্ত।

Advertisement

চলতি বছর কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজো ২৫২ বছরে পা দিয়েছে। প্রতি বারের মতো এ বারও আশা করা হচ্ছে ১০ লক্ষ দর্শনার্থীর ভিড় জমবে মণ্ডপে। বুড়িমার গায়ে থাকে ১২ কেজি সোনার গহনা। পাশাপাশি কয়েক কেজি সোনার গহনাও পরেন মা। তা দেখতে ভিড় জমান লক্ষ মানুষ। ভিড় এড়াতে সক্রিয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের চাষাপাড়ার বুড়িমার মন্দিরে তিন দিক দিয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকছে দর্শনার্থীদের। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাস্তায় থাকছে বাঁশের ব্যারিকেড। অঞ্জলির সময় নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ মোতায়েন থাকছে। আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা এবং দমকল বাহিনী। মন্দির চত্বরে জেলা পুলিশের ক্যাম্পে থাকছে মেডিক্যাল টিম, স্বেচ্ছাসেবী, অ্যাম্বুল্যান্স। এই স্বেচ্ছাসেবীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণেও সাহায্য করবেন।

বুড়িমার ভোগের জন্যও থাকে বিশেষ ব্যবস্থা। মহাপ্রসাদের মশলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তিন দিন আগে। ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করেন মহাভোগের মশলা। এই মশলা ব্যবহার করে ৫০ কুইন্টাল গোবিন্দভোগ চালের পোলাও প্রস্তুত করা হবে বুড়িমার ভক্তদের জন্য। পুজোর পর যা বিতরণ করা হবে কয়েক লক্ষ দর্শনার্থীর মধ্যে। উদ্যোক্তাদের দাবি, পুজোর খরচ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা।

Advertisement

কৃষ্ণনগর চাষাপাড়ার বুড়িমা পুজো কমিটির সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ ভক্ত সমাগমের আশা করছি। প্রসাদের ব্যবস্থা থাকছে। ভিড় সামলানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’’ কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সঞ্জয় কুমার মাকওয়ান বলেন, ‘‘ মঙ্গলবার অঞ্জলির সময় থেকে নিরঞ্জন পর্যন্ত বুড়িমার পুজোয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি ফার্স্ট প্রায়োরিটি বেসিস ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement