গোলাম রাব্বি।
তৃণমূলের পাশাপাশি প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বাম-কংগ্রেস জোটও। বিজেপি বাকি থাকলেও বৃহস্পতিবার করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের ঢাকে কার্যত কাঠি পড়ে গেল।
আগামী ২৫ নভেম্বর এই কেন্দ্রে ভোট হবে বলে গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এ দিন দুপুরে জোটপ্রার্থী হিসাবে সিপিএমের গোলাম রাব্বির নাম জানানো হয়েছে। তেহট্টে সাদিপুর পরাণপুরের গোলাম তেহট্ট আদালতের আইনজীবী।১৯৯৪ সালে গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পরে বেতাইয়ের বি আর অম্বেডকর কলেজ থেকে কলা বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক। তার পরে মুর্শিদাবাদের আমতলা কলেজ থেকে স্নাতক, ওড়িশার ভুবনেশ্বর উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ। গত প্রায় তেরো বছর তিনি আইনজীবীর পেশায় যুক্ত। কলেজ জীবন থেকেই রাব্বি বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বেতাই কলেজে পড়ার সময়ে এসএফআই করতেন। পরে ডিওয়াইএফ-এর সদস্য হন। ২০১৬ থেকে ’১৮ পর্যন্ত সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য ও নদিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। চা ছাড়া তিনি গণতান্ত্রিক আইনজীবী সংগঠনও করেন।
তিন ভাইবোনের মধ্যে রাব্বিই বড়। বাড়িতে রয়েছেন বাবা রফিক মালিথ্যা ও মা ঊর্মিলা বিবি। এ দিন নাম ঘোষণার পরেই বিকেলে সিপিএমের করিমপুর পার্টি অফিস থেকে মিছিল বার করা হয়। তাক পুরোভাগে ছিলেন রাব্বি। তাঁর দাবি, “এই বিধানসভার মানুষ সিপিএমকেই ভরসা করে। গত বিধানসভা ভোটের আগে ৩৯ বছর এখানকার মানুষ সিপিএমকে সমর্থন করেছেন। এ বারেও আমি জেতার বিষয়ে আশাবাদী।”
গোলাম রাব্বি ( ৪১)
বাড়ি: তেহট্টের পরানপুর। রয়েছে স্ত্রী-মেয়ে, বাবা-মা ও ভাই-বোন।
পেশা: আইনজীবী, তেহট্ট আদালত।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএএলএলবি
কী কারণে এ হেন আশা? যেখানে গোটা করিমপুর জুড়েই বিজেপি মাথা তুলেছে? এবং গত লোকসভা ভোটেও যেখানে তৃণমূল ‘লিড’ পেয়েছে?
রাব্বির দাবি, ‘‘করিমপুরের মানুষ তৃণমূল সরকারকে দেখে বুঝেছে যে সাধারণ মানুষের কথা এক মাত্র ভাবে বামফ্রন্ট। বিজেপি তো একেবারেই নয়। তাই তাঁরা ফের আমাদেরই ভোট দেবেন।’’ তিনি জানান, জোটপ্রার্থী হিসাবে সবাইকে নিয়ে চলবেন। প্রচার কী ভাবে হবে তা দল ঠিক করবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে জানান, তরুণ লড়াকু নেতা এবং যুব আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত বলেই গোলাম রাব্বিকে প্রার্থী করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রচার তুঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে।