অজয় বড়াল। নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পেতে গেলে দিতে হবে কয়েক হাজার টাকা ঘুষ। আর টাকা না পেয়ে পরের কিস্তির টাকা আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কান্দি পুর প্রশাসক বোর্ডের এক সদস্য অজয় বড়ালের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপি।
কান্দি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুনমুন দাস জানিয়েছেন, তিনি আগের ২ কিস্তিতে ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। কিন্তু তৃতীয় কিস্তিতে তাঁর মতো বাকি সবাই পেলেও তাঁরা আর টাকা পাননি। বার বার বিষয়টি নিয়ে ঘোরানো হয় তাঁদের। এমনকি প্রথমে বলা হয়, দিন দশেকের মধ্যে টাকা ঢুকে যাবে। কিন্তু আজ প্রায় ৪ মাস হয়ে গেল সেই টাকা তাঁরা পানি। হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে, ৫ হাজার টাকা কাটমানি না দিয়ে পরের কিস্তির টাকা কী করে পান তাও দেখে নেব।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অডিনেটর তথা পুর প্রশাসক সদস্য অজয় বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
কান্দি টাউন বিজেপি সভানেত্রী বিনীতা রায় বলেন, “শহর তৃণমূলের কাটমানি রাজত্বে পরিণত হয়েছে। এটা নতুন কথা নয়। প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখব, যাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।”
কান্দির মহকুমা শাসক রবি আগরওয়াল জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।