তখনও চলছে কর্মবিরতি। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
বায়োমেট্রিক হাজিরার বিষয়ে শেষ পর্যন্ত উপাচার্য কথা বলবেন বলে জানানোয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। আজ শুক্রবার এই কথা হবে। গত তিন দিন ধরে টানা তাঁরা হাজিরা-সহ একাধিক বিষয়ে উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ শিক্ষকেরা প্রশাসনিক ভবনে এসে উপাচার্যের ঘরের সামনে স্লোগান দেন। পরে তাঁরা রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেন। তখন রেজিস্ট্রারের ঘরে জনা-পাঁচেক আধিকারিকও ছিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানেই চলে অবস্থান। তার পর রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায় লিখিত ভাবে জানান, উপাচার্য সব শিক্ষকের বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে কথা বলবেন। তারপরেই শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। এ দিন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উপাচার্য দেরিতে হলেও আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’’
শিক্ষকদের মতে, বায়োমেট্রিক চালু করার পক্ষে কোনও আইন নেই। সরকারের নির্দেশিকাও নেই। ক্লাস বয়কট সম্পর্কে এ দিন সমিতির সভাপতি তারক দাস বলেন, ‘‘আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক স্বার্থে আমাদের ক্লাস বয়কট করতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শনিবার ক্লাস নিয়ে পড়ুয়াদের সিলেবাস শেষ করব। ’’ সমিতির তরফে যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর প্রামাণিকের বক্তব্য, ‘‘এখন তো মোটে ১৭ জন বাদে সকলেই আমাদের দাবির পক্ষে।’’
শিক্ষক সংগঠন আবুটার রাজ্য সভাপতি তথা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক অলোককুমার ঘোষের কথায়, ‘‘উপাচার্য অনেক জায়গাতেই বলছেন, কর্মসমিতির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তিনি বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করছেন। কিন্তু কর্মসমিতির সেই সিদ্ধান্তই তিনি এখনও দেখাতে পারেননি। আজ তাঁকে তা দেখাতে হবে। আলোচনায় যদি কর্তৃপক্ষ একপেশে মনোভাব ছেড়ে দেন তা হলে ভাল। না-হলে পরিস্থিতি ফের আগের মতোই হবে।’’ এ ব্যাপারে উপাচার্যকে বার-বার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। ফলে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।